পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাট এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গতকাল সকাল ১০টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিল আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে। সোয়ারীঘাটের পাশে নলগোলা, রাজারঘাট মৌজায় বেশ কয়েকটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। সরকারি জায়গা দখল করে বানানো এসব স্থাপনা এর আগেও একবার উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
জানা গেছে, অভিযানে বাবুবাজার ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে সোয়ারীঘাট পর্যন্ত নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ও মিটফোর্ড হাসপাতালের পাশের বালুঘাট থেকে পশ্চিম দিকে শতাধিক স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া হাজী সেলিমের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন ট্রান্সপোর্টের অফিস উচ্ছেদ করা হয়েছে।
দেড় বছর আগের সেই অভিযানের পর আবারও নতুন করে টিনশেড ঘর বানিয়েছিল দখলদাররা। বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকা নদী বন্দরের ইনচার্জ মো. গুলজার আলী জানিয়েছেন, নতুন করে বসানো সীমানা পিলারের ভিতরে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ দখল করতে না পারে সেজন্য এসব অভিযান সাধারণ মানুষের জন্য বার্তা। অচিরেই কেরানীগঞ্জের তেলঘাট, চর মিরেরবাগ, বছিলা, ওয়াসপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পাশের দখলে থাকা নদীর জমি দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হবে।
হাজী সেলিমের ‘চান সরদার কোল্ডস্টোরেজ’ না ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম পরিচালক গুলজার জানান, কোল্ডস্টোরেজের ভিতরে ব্যবসায়ীদের কাঁচামাল রয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযান চালালে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তাই স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সেটি ভাঙা হয়নি। মালামাল সরানোর পর তারা নিজেরাই এটি ভেঙে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর আগে, রবিবার একই এলাকায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের দখলকৃত বেশকিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দখলে নেয় বিআইডব্লিউটিএ। এতে উদ্ধার হয় নদীতীরের অন্তত তিন একর জমি।
Leave a Reply