ঐতিহ্যবাহী কমলাপুর রেলস্টেশনের ভবন ভেঙে অন্যত্র তথা আরও উত্তরে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাপানের প্রতিষ্ঠান কাজিমা করপোরেশন। এতে রাজি হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাজধানীর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট-৬ এর লাইন সম্প্রসারণ এবং মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব নির্মাণের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশন ভবন ভাঙতে হবে। এরপর কাছাকাছি জায়গায় আবার তা নির্মাণ করতে হবে। এ বিষয়ে একটি নতুন পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রেল ভবনে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়। কমলাপুর মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাবের সাব ওয়ার্কিং গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী কাজিমা করপোরেশনের কর্মকর্তারা ওই বৈঠকে রেল ভবনে নতুন পরিকল্পনাটি উত্থাপন করেন।
বর্তমান স্থানে স্টেশনটি থাকলে নির্মাণাধীন ঢাকা মেট্রোরেলের স্থাপনার আড়ালে পড়ে যাবে।
আবার কমলাপুর স্টেশনকে ঘিরে নেওয়া মাল্টিমোডাল হাব নির্মাণ প্রকল্পও বাধাগ্রস্ত হবে। এ বিবেচনায় স্টেশনটি কিছুটা উত্তরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা দিয়েছে জাপানের ওই প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্টেশন ভবনটি ভাঙা পড়বে।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন মঙ্গলবার দুপক্ষের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে জানান, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী বর্তমান স্টেশনটি ভেঙে দেওয়া হবে এবং কিছুটা উত্তর দিকে একই রকম একটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে।তবে তিনি জানান, এটি যেহেতু একটি আইকনিক স্থাপনা, তাই এটি ভেঙে ফেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কাজিমা করপোরেশনের প্রস্তাবিত নতুন পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। আমরা এই পরিকল্পনা গ্রহণ করছি, এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষা। ’
নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কমলাপুর স্টেশনটি ভেঙে বর্তমান জায়গা থেকে ১৩০ মিটার উত্তরে নতুন করে তৈরি করতে হবে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply