1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

শিলিগুড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগ শুরু হচ্ছে ৫৫ বছর পর : ১৭ ডিসেম্বর মালবাহী ট্রেন চলাচল উদ্বোধন

শিপন হাবীব
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্ধ থাকা রেলপথগুলো একে একে চালু হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে চিলাহাটি (নীলফামারী)-হলদিবাড়ী (জলপাইগুড়ি) রেলপথ নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর এ পথে মালবাহী ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৬ মার্চ এ পথেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এ প্রকল্পের জন্য অত্যাধুনিক একটি স্টেশন ও জমি অধিগ্রহণে ১৪৩ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বুধবার রেলভবনে রেলওয়ে মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে প্রকল্প পরীক্ষণ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। বর্তমান সরকার রেলে আমূল পরিবর্তন এনেছে। দু’দেশের মধ্যে বন্ধ থাকা রেলপথগুলো পুনরায় চালু করছে। ইতোমধ্যে তিনটি রুট চালু করা হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ ৫৫ বছর পর বাংলাদেশ-শিলিগুড়ির সঙ্গে সরাসরি ট্রেন চলাচল করবে। ইতোমধ্যে রেলপথ নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। শুরুতে মালবাহী এবং পরে ২৬ মার্চ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে চলমান রেলপথের সঙ্গে নতুন রেলপথ নির্মাণ, অত্যাধুনিক একটি স্টেশন, ওয়াসফিটসহ জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাকি কাজ সস্পন্ন হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শুরুতে এ পথে মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রী কিংবা মালবাহী ট্রেন নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার হলদিবাড়ী যাবে। এরপর জলপাইগুড়ি জংশন হয়ে শিলিগুড়ি যাবে। চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথটি দু’দেশই ব্যবহার করবে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার চিলাহাটি থেকে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে। ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের আওতায় চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৯ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপ। অপরদিকে হলদিবাড়ী রেলস্টেশন থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপনের কাজ শেষ করেছে ভারত সরকার। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এ পথটি বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট দফতর জানায়, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় চিলাহাটি-হলিদাবাড়ী রেলপথের বিষয়ে চুক্তি সই হয়। সেই চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় অংশে কাজ শুরু হলেও একটু দেরিতে বাংলাদেশ অংশের কাজ শুরু হয়। যদিও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত করে।
রেলওয়ে মহাপরিচালক শামছুজ্জামান জানান, এক সময় দার্জিলিং মেইল শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে রানাঘাট, ভেড়ামারা, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, সান্তাহার, হিলি, পার্বতীপুর, নীলফামারী, চিলাহাটি, ভারতের হলদিবাড়ী (জলপাইগুড়ি) ও শিলিগুড়িতে চলাচল করত। সেভাবেই এই পথে ফের দু’দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল চালু হবে। তিনি বলেন, মালবাহী ট্রেন চলা শুরুর পর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করতে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে।
জানা যায়, যেভাবে এখন খুলনা-কলকাতা বা কলকাতা-ঢাকা রেল যোগাযোগ রয়েছে, এটি তেমনই হবে। নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে রেলপথে মালামাল পরিবহন করতে চায়। এখন সেটা সড়কপথে করতে হচ্ছে, যার খরচও বেশি। কিন্তু এই রেলপথটি চালু হয়ে শিলিগুড়ির সঙ্গে যুক্ত হলে নেপাল ও ভুটান এ পথ ব্যবহার করতে পারবে। এতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
চলতি বছরের ৮ অক্টোবর ভারতীয় ইঞ্জিন ও ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশের ইঞ্জিন দিয়ে নবনির্মিত চিলাহাটি-হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়। ১৪ নভেম্বর রেলপথসহ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনায় এ পথে ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। নতুন হিসাবে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৪৩ কোটি ২০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পটির আওতায় তিন একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন। এ ছাড়া চিলাহাটি স্টেশন থেকে তিনটি লুপ লাইন নির্মাণের পরিবর্তে চারটি লুপ লাইন নির্মাণ করতে হবে। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর জানান, এ প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের আগেই তারা সমাপ্ত করেছেন। এখন নতুন করে এ প্রকল্পে কিছু অঙ্গ অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে। রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের নির্দেশনা পেয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। অন্তর্ভুক্তি কাজও যথাসময়ে সমাপ্ত করা হবে।
জানা যায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি রেল পথ রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ইতোমধ্যে চালু হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT