ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের দল রাজধানীর বংশালে একটি সাইকেল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গোপন হিসাবপত্র আটক করেছে। এতে ভ্যাট ফাঁকিরও প্রমাণ মিলেছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার সংস্থার উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্যাট গোয়েন্দার দল এ অভিযান পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানটির নাম সিরাজ সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। মূসক নম্বর ০০০১৮৯৭১১-০১০৩। সিরাজ সাইকেলের কারখানা শ্রীপুরের মুলাইদে হলেও বংশালে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়। এখানে বাণিজ্যিক হিসাবপত্র সংরক্ষণ করা হয়।
ভ্যাট গোয়েন্দা সাইকেল ব্যবসায়ীর নিয়মিত অডিট চলাকালে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী হিসাবপত্র দাখিল করতে বললে তারা সেগুলো না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। অডিট শুরুর এক বছর পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিরাজ সাইকেল কতিপয় কাগজ দাখিল করলে তাতে গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়। গোয়েন্দা দল প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে যাচাই করে ভ্যাটের হিসাবে গরমিল পান। গোয়েন্দাদের কাছে দাখিল করা তথ্যাদি ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বানানো বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
বংশালের অফিস থেকে সিএ ফার্ম এমএন ইসলাম অ্যান্ড কোম্পানি নিরীক্ষিত প্রতিবেদন ও অন্যান্য বাণিজ্যিক তথ্য উদ্ধার করা হয়। এসব তথ্যে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছর সিরাজ সাইকেল বিক্রয় প্রদর্শন করেছে ১৯ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা। কিন্তু আটক করা সিএ প্রতিবেদন ও বাণিজ্যিক কাগজপত্র অনুযায়ী, এ হিসাব ৭৩ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা। শুধু এক বছরে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে ৫৪ দশমিক ১৪ কোটি টাকা। ভ্যাট কর্তৃপক্ষের কাছে আগে দাখিল করা হিসাব অনুযায়ী, এক বছরে তারা প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে প্রায় ২৭৪ শতাংশ। আরও তদন্ত করে প্রকৃত ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাইকেল ব্যবসায় উৎপাদনে ১৫ এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য।
Leave a Reply