বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল ডাইরেক্টর জেনারেল ট্রেড রেমিডিজের (ডিজিটিআর) থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা ‘টিউব এবং / বা ফ্ল্যাপ ছাড়া’ বাস ও লরির জন্য রাবারের নতুন বায়ুসংক্রান্ত রেডিয়াল টায়ার আমদানিতে আগামী পাঁচ বছর প্রতি টনে ৫২৭ দশমিক ০৮ ডলার পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে। খবর পিটিআই’র।
সূত্র জানায়, এই শুল্ক আরোপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অর্থ মন্ত্রক। এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, দেশীয় নির্মাতাদের পণ্যটির সস্তা শিপমেন্ট ও বাজার বিকাশের হাত থেকে রক্ষা করতে থাইল্যান্ড থেকে রেডিয়াল টায়ার আমদানিতে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের চিন্তাভাবনা চলছে।
এ সংক্রান্ত দীর্ঘ তদন্ত সম্পন্ন করার পরে ডিজিটিআর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, টায়ার পণ্যটি থাইল্যান্ড থেকে তার স্বাভাবিক মূল্যের নীচে ভারতে রফতানি করা হচ্ছে, যা দেশীয় টায়ার শিল্প বিকাশের যাত্রাকে প্রভাবিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কর্তৃপক্ষটি অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে, যাতে দেশীয় শিল্পের ক্ষতিকে প্রশমন করা যায়।” শুল্ক আরোপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অর্থ মন্ত্রক।
থাইল্যান্ড থেকে র্যাডিয়াল টায়ার সস্তা দামে আমদানির অভিযোগে দেশীয় শিল্পের পক্ষে অটোমোটিভ টায়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অধিদফতরের কাছে একটি আবেদন করেছিলো। গত বছরের ২ ডিসেম্বর ডিজিটিআর থাইল্যান্ড থেকে উত্পন্ন বা রফতানি হওয়া, পণ্যটির অভিযুক্ত ডাম্পিংয়ের অস্তিত্ব, ডিগ্রি এবং প্রভাব নির্ধারণের জন্য তদন্ত শুরু করেছিল। স্বল্প দামের এই টায়ার আমদানি বৃদ্ধির কারণে তাদের দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রক অ্যান্টি-ডাম্পিং তদন্ত চালায়।

পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বহুপাক্ষিক শাসনের অধীনে শুল্ক আরোপ করে। বিদেশী উত্পাদক এবং রফতানিকারীদের ক্ষেত্রে দেশীয় উত্পাদকদের জন্য ন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন নিশ্চিত করা এবং দেশীয় উত্পাদকের জন্য একটি স্তরের ক্ষেত্র তৈরি করা এই শুল্কটির লক্ষ্য।
Leave a Reply