আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবস আজ। মুজিব শতবর্ষে এ দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আলোচনা সভা, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, ঢাকাসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সচেতনতামূলক ব্যানার টানানো। এ ছাড়া বিমানবন্দরে সেবার মান বিষয়ে বিভিন্ন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংশ্নিষ্টরা জানান।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, মুজিব শতবর্ষে এ দিবসটি পালনে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তাৎপর্য গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দিবসটি পালনে ঢাকাসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ব্যানারসহ নানা রঙে সাজানো হয়। কর্মকর্তারা বলেন, ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত এক সিদ্ধান্তে সদস্য দেশগুলোকে প্রতি বছর ৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবস পালনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। যদিও এর আগে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও) ৭ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবসের ঘোষণা দেয়। ১৯৯৪ সালে আইকাওয়ের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বছর প্রথম দিবসটি পালন করা হয়।
এ ব্যাপারে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, এবার মুজিব শতবর্ষে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবস। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, ঢাকাসহ দেশের সব বিমানবন্দরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। বেবিচক কর্মকর্তারা আরও জানান, আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল দিবস পালনে বেবিচকের চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকাসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সেবার মান সম্পর্কে বিভিন্ন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইকাওয়ের কাজ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী বেসামরিক বিমান চলাচলকে সুবিন্যস্ত ও নিরাপদ করা। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, বিমানের নকশা অনুমোদন, বিমানবন্দর ও বিমান চলাচলের বিকাশ ঘটাতে উৎসাহ দেওয়ার কাজও করে আইকাও। এ সংস্থাটি তার ১৮৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে। দেশে-দেশে বেসামরিক বিমান চলাচলের মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও সমঝোতা সৃষ্টি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবসের উদ্দেশ্য।
Leave a Reply