“একটা চিঠি দিলাম বন্ধুর কাছে
লিখা চোখের জলে
আশা করি পরান বন্ধু
আছো কৌশলে। ”
সেই বন্ধু হারুনের সাথে দেখা, ২৮ বছর পরে।কক্সবাজার শহরে। আরেক ক্লাস মেট বন্ধু টিটুর বাংলোতে।
হারুনকে দেখে বুকের ভিতরটায় কেমন করে উঠে। জড়িয়ে ধরে রাখি বুকে। দীর্ঘক্ষণ। ছাড়তে মন চায় না। হারুনও। তারপর টিটু এসে জড়িয়ে ধরে।
তিন বন্ধু একসাথে জড়িয়ে ধরে থাকি অনেকক্ষণ। আমাদের ফেলে আসা জীবনের আবেগ, ভালো লাগা, ভালোবাসা ক্ষনিকের মধ্যে সব একাকার হয়ে যায়।
তারপর আড্ডা দীর্ঘ সময়। সাথে আমার মেয়ে নদী ছিল। নদী কেবল দেখছিল। নদী ভাবতেও পারেনি বন্ধুদের মধ্যে এতো আবেগ ভালোবাসা এখনো থাকতে পারে?
এই যুগের ছেলে মেয়েরা তো এইসব দেখেওনি, বুঝেও না। কিংবা বুঝার সময় কই ওদের।আধুনিকতা ওদের এইসব কেড়ে নিয়েছে।মোবাইল, ফেসবুক ওদের নিত্য সঙ্গী। কোথায় পাবে এমন বন্ধুত্বের বন্ধন।
কক্সবাজারে দুটো দিন স্বপ্নের মতো কেটেছে। তিন বন্ধু মিলে পুরানো দিনের স্মৃতিচারণ করেছি। হারুন এখন রামু সরকারী কলেজের শিক্ষক। টিটু সরকারী চাকুরীজীবি।
২৮ বছর পরে তিন বন্ধুর মিলন কেমন স্বপ্নের মতো ছিল। কিভাবে কেটে গেলো দুটো দিন টেরই পেলাম না। বার বার মনে হয়েছে একটাই কথা। এই জীবনে আর যদি দেখা নাও হয়, ক্ষতি নেই। মরনে কোন আফসোস নেই। বন্ধুর সাথে একবার দেখা তো হয়েছে।
ঢাকা। ৬ ডিসেম্বর ২০২০।
Leave a Reply