1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

বন্ধুর মুখ শত্রুর ছায়া : ২৮ বছর পর আবার এক সাথে

তারিক মাহমুদ
  • আপডেট : সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

বন্ধুর মুখ বার বার দেখতে ইচ্ছে করে। ছেলে বন্ধু, মেয়ে বন্ধু সে যেই হোক। শত্রুর ছায়া স্মৃতিতেও আনতে চাই না। তবুও শত্রুর ছায়া এসে উকি দেয় স্মৃতির জানালায়। বন্ধুর মুখ দেখতে বুকের ভেতরে হাহাকার করে।
আমি তো কোনদিন স্বপ্নেও আশা করিনি আমার ক্লাস মেট বন্ধু হারুনের সাথে আবার দেখা হবে। সেই ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে আসার দিন আমাদের শেষ দেখা। চোখের জলে আমাকে হারুন বিদায় দিয়েছিল। সবার সাথে শেষ বিদায় হলেও বন্ধু হারুনের সাথে বিদায়টা অন্য রকম ছিল। হারুনের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলায়। ওর ছোট বোনের বিয়েতে আমি হারুনের বাসায় গিয়েছিলাম। সুপারী বাগানের ভিতর কাঠের দোতলা বাড়ি। চারি পাশে সবুজ আর সবুজ।মোহময় প্রকৃতি যেন আপন হাতে সব কিছু সাজিয়ে দিয়েছে।
পাশে একটা নদীও ছিল। কল কল শব্দে পাহাড়ি জল নিয়ে নদী বয়ে চলেছে নিরন্তর।
বিদায়বেলা হারুন আমাকে কোনো কথা বলতে পারেনি। আমিও বলতে পারিনি। চোখ ভিজে গিয়েছিল চোখের জলে। বাংলা একটা গান হারুনের কথা হলেই গুনগুন করে গাইতাম।হারুনের জন্য আমার বুকের ভিতরটায় কষ্টে চিন চিন করে উঠতো।
সেই গানটার কথা মনে পড়তো।

“একটা চিঠি দিলাম বন্ধুর কাছে
লিখা চোখের জলে
আশা করি পরান বন্ধু
আছো কৌশলে। ”

সেই বন্ধু হারুনের সাথে দেখা, ২৮ বছর পরে।কক্সবাজার শহরে। আরেক ক্লাস মেট বন্ধু টিটুর বাংলোতে।
হারুনকে দেখে বুকের ভিতরটায় কেমন করে উঠে। জড়িয়ে ধরে রাখি বুকে। দীর্ঘক্ষণ। ছাড়তে মন চায় না। হারুনও। তারপর টিটু এসে জড়িয়ে ধরে।
তিন বন্ধু একসাথে জড়িয়ে ধরে থাকি অনেকক্ষণ। আমাদের ফেলে আসা জীবনের আবেগ, ভালো লাগা, ভালোবাসা ক্ষনিকের মধ্যে সব একাকার হয়ে যায়।
তারপর আড্ডা দীর্ঘ সময়। সাথে আমার মেয়ে নদী ছিল। নদী কেবল দেখছিল। নদী ভাবতেও পারেনি বন্ধুদের মধ্যে এতো আবেগ ভালোবাসা এখনো থাকতে পারে?
এই যুগের ছেলে মেয়েরা তো এইসব দেখেওনি, বুঝেও না। কিংবা বুঝার সময় কই ওদের।আধুনিকতা ওদের এইসব কেড়ে নিয়েছে।মোবাইল, ফেসবুক ওদের নিত্য সঙ্গী। কোথায় পাবে এমন বন্ধুত্বের বন্ধন।
কক্সবাজারে দুটো দিন স্বপ্নের মতো কেটেছে। তিন বন্ধু মিলে পুরানো দিনের স্মৃতিচারণ করেছি। হারুন এখন রামু সরকারী কলেজের শিক্ষক। টিটু সরকারী চাকুরীজীবি।
২৮ বছর পরে তিন বন্ধুর মিলন কেমন স্বপ্নের মতো ছিল। কিভাবে কেটে গেলো দুটো দিন টেরই পেলাম না। বার বার মনে হয়েছে একটাই কথা। এই জীবনে আর যদি দেখা নাও হয়, ক্ষতি নেই। মরনে কোন আফসোস নেই। বন্ধুর সাথে একবার দেখা তো হয়েছে।
ঢাকা। ৬ ডিসেম্বর ২০২০।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT