বিশ্বজুড়ে স্বচালিত গাড়ি উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতা চলছে। অনেক কম্পানি এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক রাস্তায়ও নামিয়েছে। অত্যাধুনিক এই গাড়ির আরো উন্নয়ন ঘটিয়ে এখন বাজারে আনার অপেক্ষা। বর্তমান বিক্রির দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান জার্মানির ফোকসভাগেন। এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কম্পানির সিইও হারবার্ট ডাইজ বলেন, আগামী ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যেই স্বচালিত গাড়ি বিক্রি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য কম্পিউটার চিপসের কর্মক্ষমতা আরো বাড়ানো জরুরি, এর পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নেও কাজ চলছে, যা প্রক্রিয়াটিকে আরো গতিশীল করবে। স্বচালিত গাড়ির বিষয়টি জটিল হলেও আশা করা যায় সিস্টেমটি দ্রুত দাঁড়িয়ে যাবে।’ ২০১৫ সালে বিএমডাব্লিউ থেকে সরে এসে ফোকসভাগেনে যোগ দেন ডাইজ। বর্তমানে এই গাড়ির নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে তিনি কাজ করছেন।
বিশ্বে স্বচালিত গাড়ি নিয়ে কাজ শুরু হয় ১৯২০ সালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয় ১৯৫০ সালে। ১৯৭৭ সালে প্রথম আধা-স্বচালিত গাড়ি নির্মাণে সফল হন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে ফোকসভাগেন ছাড়াও বিএমডাব্লিউ, নিশান, ফোর্ড, জেনারেল মোটরস, টেসলা, গুগলের ওয়েমোসহ বহু কম্পানি এ নিয়ে কাজ করছে এবং এই খাতে বিনিয়োগ করেছে। উবারও চালকবিহীন গাড়ি নিয়ে কাজ করছে। বিশ্বের অনেক দেশে পরীক্ষামূলক যাত্রী পরিবহনও শুরু হয়েছে। তবে সর্বসাধারণের স্তরে আসেনি এখনো।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী এক দশকে বিশ্ব অর্থনীতিতে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি করবে স্বচালিত গাড়ি। চালকবিহীন গাড়ি, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, স্বচালিত গাড়ি, রোবো-গাড়ি বা রোবটিক গাড়ি ইত্যাদি নামে পরিচিত হয়ে ওঠা এই গাড়ি পরিবেশ সেন্সর দিয়ে নিরাপদে যেকোনো দূরত্বে চলাচল করতে পারবে। রাস্তা চলাচলে আশপাশের তথ্য সংগ্রহে এটিতে কয়েক ধরনের সেন্সর থাকবে। যেমন : রাডার, লিডার, সোনার, জিপিএস, ওডোমেট্রি ইত্যাদি। রয়টার্স।
Leave a Reply