গত বছর পাঁচ মাসের ব্যবধানে পরপর দুটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয় ৩৪৬ জন যাত্রী। এর পর থেকেই নিরাপত্তা ইস্যুতে গ্রাউন্ডেড করে রাখা হয়েছিল বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের সব বিমান। প্রায় দুই বছর উড়তে না পারা এ বিমানকে আজ থেকে ফের উড়তে দেখা যাবে। ব্রাজিলিয়ান এয়ারলাইনস জিওএল বন্ধ থাকার পর প্রথম এয়ারলাইনস হিসেবে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সে যাত্রী বহন করার কথা নিশ্চিত করেছে। গত সোমবার এ সংবাদ জানায় তারা। খবর সিএনএন বিজনেস।

এর আগে নভেম্বরের ১৮ তারিখ বোয়িং ৭৩৭-কে ফের যাত্রী বহনের অনুমতি দেয় ইউএস ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এছাড়া ব্রাজিল হলো আরেকটি দেশ, যাদের অ্যাভিয়েশন রেগুলেটর বিমানটিকে যাত্রী বহনের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। অবশ্য আরো কিছু ইউরোপিয়ান দেশ এবং কানাডাও এখন অনুমতি দেয়ার পথে আছে।
এদিকে ব্রাজিলের বৃহত্তম দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থা জিওএল বলেছে, যাত্রীদের জানানো হবে যে তাদের ফ্লাইটটি এখন ৭৩৭ ম্যাক্স ওড়াবে। যদি কোনো যাত্রী এ বিমানে ভ্রমণ করতে অনাগ্রহী হয়, তবে তারা টিকিট বদলে নিতে পারবে।

দুর্ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে প্রযুক্তিগত দিক থেকে কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাঝে ছিল বিমানটি। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের মাঝেও করা হয় প্রচুর রদবদল। সব মিলিয়ে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া ছাড়পত্রের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফের ওড়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বিমানটি। এ মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রী বহন করার কথা রয়েছে ৭৩৭ ম্যাক্সের।
Leave a Reply