করোনাভাইরাস পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই লাক্সারি প্রমোদতরীর মালিকেরা বেশ বেকায়দায় পড়ে গেছেন। বিভিন্ন দেশেই এসব প্রমোদতরীতে করে ঘুরে বেড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বিভিন্ন প্রমোদতরী নানান কর্মসূচীতে ভ্রমণ পিপাসুদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের রয়্যাল ক্যারিবিয়ান জাহাজের কথা বলা যায়। ‘ক্রুজ টু নো হোয়্যার’ নামে একটা সার্ভিস চালু করেছে তারা। যেখানে একই পোর্ট থেকে যাত্রা করে সমুদ্রে চারদিন কাটিয়ে আবার সেই পোর্টেই ফিরে আসে জাহাজ। এভাবে গত মাসে একটা ভ্রমণ সম্পন্নও করেছিল তারা। দেশটির ট্যূরিজম বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমেই এই সার্ভিস চালু করেছিল রয়্যাল ক্যারিবিয়ান জাহাজ। তবে সার্ভিসটি বেশিদিন চালু রাখতে পারল না সিঙ্গাপুর। এই প্রমোদতরীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ভ্রমণ পিপাসু এক যাত্রী।
সিঙ্গাপুরের এই বিশেষ প্রমোদতরী কেবল নিজ দেশের মানুষের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ভিনদেশী কাউকে সেখানে নেয়নি তারা। এরপরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পারেনি। গত সোমবার চার দিনের সমুদ্র ভ্রমণে বেরিয়েছিল রয়্যাল ক্যারিবিয়ান জাহাজ। কিন্তু তৃতীয় দিনেই তাদেরকে ফিরতে হলো। এক বিজ্ঞপ্তিতে জাহাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা করোনাআক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছি এবং তাকে আইসোলেশনে রেখেছি। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া জাহাজের ক্রু এবং অন্য যাত্রীদের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এর সবাই নেগেটিভ হয়েছেন। সিঙ্গাপুরের একটি পত্রিকার ভাষ্যমতে, প্রমোদতরীতে ১৬৮০ জন যাত্রী এবং ১৪৪৮ জন ক্রু আছেন। যে যাত্রী আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ৮৩ বছরের সিঙ্গাপুরের নাগরিক। এর আগে জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড প্রিন্সেসে যাত্রীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল।
অবশ্য করোনায় আক্রান্ত জাহাজ ফিরে এলেও সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) আরও একটি প্রমোদতরী সিঙ্গাপুর থেকে খোলা সমুদ্রের দিকে যাত্রা করবে।
Leave a Reply