যার যা প্রাপ্য সন্মান তাকে তা দিতেই হবে। এটাই মহত্ব। পদ্মাসেতুর পাইলিং শুরু এবং পরীক্ষামূলক পিলার স্থাপনের পরই জানা যায়, পদ্মার অজানা কাদার স্তর আর চোরা স্রোতের কথা। একটি পিলার পুরোপুরি কাদার স্তরে তলিয়ে যাওয়ার পর চায়না মেজর ব্রিজ জানিয়ে দিয়েছিলো, পদ্মায় আর যাই হোক, এতো বড় অবকাঠামো তৈরি সম্ভব নয়।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সকল বড় ভৌত অবকাঠামোর সঙ্গে জড়িত জেআরসি বলে পরিচিত প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী। জেআরসি সেদিন বলেছিলেন, ‘অবশ্যই সম্ভব। আমি সম্ভব করবো।’
তিনি যোগাযোগ করলেন ভাটি অঞ্চলের কাজে অভিজ্ঞ এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে। তার পরামর্শ আর জেআরসির বৈজ্ঞানিক প্রজ্ঞায় তৈরি হলো ৩টি পাইলের একটি সেট, যেগুলো ৪৫ ডিগ্রি বাঁকানো থাকবে কাদার মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা তৈরির জন্য। প্রতিটি পিলারে ব্যবহার হবে এরকম দুটি সেট।
৪২০ ফুটের সে দীর্ঘ পাইল, সারা বিশ্বের ইতিহাসে গভীরতম পাইলিং প্রকল্প। জেআরসির মেধা আর প্রজ্ঞায় বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
Leave a Reply