দুর্যোগ কবলিত ওশান নেটওয়ার্ক এক্সপ্রেসের (ওয়ান) ডুবে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্থ কন্টেইনারের মধ্যে বাংলাদেশী কন্টেইনারও থাকতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত তারা তাদের কন্টেইনার সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাননি।
ওশান নেটওয়ার্ক এক্সপ্রেস (ওয়ান) বাংলাদেশ এর জেনারেল ম্যানেজার শাকিল আহসান গতকাল পরিবহন জগতকে বলেন, আমরা জাপানি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও হারানো বা ক্ষতিগ্রস্ত কন্টেইনারের তালিকা পাইনি। দুর্যোগ কবলিত ওশান এক্সপ্রেসে বাংলাদেশী কন্টেইনারও থাকতে পারে। তালিকা পেলেই এটি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জাপানিজ কন্টেইনার কেরিয়ার ওশান নেটওয়ার্ক (ওয়ান) এর আগে জানায়, জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনী কর্তৃক অনুমোদনের অনুমতি দেওয়ার পরে ডেকে থাকা বাকি কন্টেইনারগুলো নিরাপদে অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। । গত ৩০ নভেম্বর মারাত্মক আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়ে জাহাজটি জাপানের কোবে বন্দরে আনুমানিক ১৮১৬টি কনটেইনার হারিয়ে যাওয়ার পরে নিরাপদে অবস্থানে রয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুসারে বিচ্ছিন্ন কন্টেইনার ইউনিটগুলি সাবধানে অপসারণে একমাসেরও বেশি সময় নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারা জানায়, বর্তমানে সুরক্ষার সাথে কন্টেইনার অপসারণ তাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার। একবার লোড করার পরে, প্রত্যেকটি কন্টেইনার মূল্যায়ন করা হবে। এর পরই দেশভিত্তিক তালিকা করে কন্টেইনারগুলো পৌঁছনোর বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।
Leave a Reply