1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

রিজেন্সী হোটেলের প্রতারণা : হোটেলের চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০


২৯ লাখ টাকার শেয়ার হয়ে গেল ২৯ হাজার!
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দ্বৈত প্রবাসী মিনাজ আহমেদ। তিনি দেশের ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড নামে একটি কম্পানির শেয়ারে আকৃষ্ট হয়ে ২০০৬ সালে ২৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি ২৯ লাখ টাকা) বিনিয়োগ করেন। পরের বছর তাঁকে কম্পানির পরিচালক করা হয়। ২০০৮ সালে দেশে ফিরে তিনি কাগজপত্র ও বিনিয়োগ করা শেয়ারের সনদ দেখতে চাইলে কম্পানির লোকজন শুরু করে গড়িমসি। একপর্যায়ে তাঁকে ২৯ লাখ টাকার বিপরীতে মাত্র ২৯ হাজার টাকার শেয়ার দেখানো হয়। অনেক বছর অপেক্ষার পর মিনাজ আহমেদ এবার দেশে ফিরে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে গত ৩০ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। অন্য আসামিরা হলেন—একই কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির হোসেন, পরিচালক আরিফ মোতাহার, নাজমা আরিফ মোতাহার, জেবুন্নেসা, ফাহিম আরিফ মোতাহার ও রোকেয়া খাতুন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘আসামিদের প্রতিষ্ঠিত ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড ২০০৫ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্রোশিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাব ছিল—শেয়ারবাবদ ২৫ হাজার পাউন্ড (২৯ লাখ টাকা) বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীকে কম্পানির পরিচালক পদসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। মামলার বাদী মিনাজ আহমেদ ওই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে ২০০৬ সালের ৩ মার্চ পরিচালক পদ পাওয়ার আশায় এই টাকা বিনিয়োগ করেন।
২০০৭ সালের আগস্টে কম্পানির পরিচালক হিসেবে মিনাজ আহমেদকে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেওয়া হয়। এরপর ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে মিনাজ বাংলাদেশে ফিরে কম্পানির কাগজপত্র ও বিনিয়োগের শেয়ারের সনদ দেখতে চাইলে আসামি মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ ও আরিফ মোতাহার গড়িমসি শুরু করেন। একপর্যায়ে মাত্র ২৯ হাজার টাকার শেয়ার তাঁর নামে আছে জানতে পারলে মিনাজ আহমেদ প্রতারিত হয়েছেন, সেটা টের পান। পরে তিনি আরো খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, প্রতিষ্ঠানটি সব বিনিয়োগকারীর সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইকরাম হোসেন বলেন, ‘বাদী কম্পানির শেয়ার কিনে প্রতারণার শিকার হলে ঢাকার মুখ্য হাকিম আদালতে গত ৩০ নভেম্বর মামলা করেন। এরপর ওই দিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। তবে আসামিরা সমন পাওয়ার পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। আদালত ওই দিনই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’
মামলার বাদী মিনাজ আহমেদ বলেন, ‘লিখিত চুক্তিতে আমার কাছ থেকে ২৯ লাখ টাকা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ আমাকে সমপরিমাণ শেয়ার হস্তান্তর না করে ভুয়া পরিচয়পত্র দেয়। এমনকি কথিত এজিএম ও সই জাল করে প্রতারণা করে।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT