1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বিশ্বখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড খুব শিগগিরই বাজারে আসছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমটি কনসার্টো জাহাজে বাংলাদেশী নাবিকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি

রিকশাচালকদের করোনা সংক্রমণ হার প্রায় শূন্য

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

রাজধানী ঢাকায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করলেও এখানকার রিকশাচালকদের মাঝে সংক্রমণের হার প্রায় শূন্য বলে তথ্য প্রকাশ করেছে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)। সংস্থাটি বলছে, রিকশাচালকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। কেননা তাদেরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ, বস্তিবাসীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। গতকাল অনলাইন প্ল্যাটফরমে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. এম শামসুল আলম। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটির ১২০০ জন রিকশাচালকদের মাঝে এ জরিপ চালানো হয়। করোনা মহামারীকালে সাধারণ ছুটিকালীন সময়েও এদের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যগত অন্যান্য সমস্যা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে- সাধারণ ফ্লু, সর্দি, কাশি, পেটে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি। এগুলো মূলত তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং পেশাগত কাজের ঝুঁকির কারণেই হয়ে থাকে বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। এতে আরও বলা হয়, মার্চ-জুনে সাধারণ ছুটির সময় যারা কাজ হারিয়ে ছিলেন অর্থাৎ রিকশা চালানো বন্ধ করেছিলেন তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ জনই আবার কাজে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের রোজগার কমে গেছে। বর্তমানে একজন রিকশাচালক ১৩৬ টাকা রোজগার করে থাকেন। এদের ৫৬ শতাংশেরই রিকশা চালানোর মাধ্যমেই জীবিকা নির্ভর করে। আর ৭ শতাংশ রয়েছেন যারা অন্য কাজও করেন। তাদের রোজগারও কিছুটা বেশি। মার্চ-জুনে এদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের আয় বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখনো সম্পূর্ণ শতভাগ রিকশাচালক পেশায় নিয়মিত হতে পারেননি। কভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে এসে শতকরা ৮০ জন কাজে ফিরে আসতে পেরেছেন। বাকিদের ঢাকায় অবস্থানের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। হয়তো তারা ঢাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
রিকশাচালকদের স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে গবেষণায় বলা হয়েছে- এদের শতকরা প্রায় ৭৩ জনই ধূমপায়ী। শতকরা প্রায় ৬২ জনই রাস্তা বা ফুটপাথ থেকে খাবার খেয়ে থাকেন। এদের ৬২ জন খাবারের আগে হাত ধৌত করেন। বাকিরা হাত না ধোয়ার কারণে নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এমনকি টয়লেট করার পরও প্রায় ১৭ রিকশাচালক সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করেন না। এর কারণ হিসেবে সচেতনতার অভাব, উপযুক্ত পরিবেশের অভাব এবং আর্থিক অক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT