1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

করোনায় বাড়ছে সমুদ্র দূষণ : বছর জুড়ে সমুদ্রে ফেলা হয়েছে ১৫৬ কোটি মাস্ক

শোভন দত্ত
  • আপডেট : শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

করোনা সংক্রমণের কারণে সমুদ্রে ফেলা হচ্ছে মাস্ক। এতে নষ্ট হচ্ছে সামুদ্রিক প্রাণির বেঁচে থাকার জন্য বাস্তুসংস্থান। সাম্প্রতিক সময়ে সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে হংকংয়ের একটি সংস্থার করা গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।
পলিপ্রপলিন জাতীয় প্লাস্টিকের তৈরি এ মাস্কগুলোর ওজন হবে আনুমানিক সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টন। এগুলো ধ্বংস হতে সময় লাগবে সাড়ে ৪০০ বছর। মাস্কগুলো থেকে যে মাইক্রোপ্লাস্টিক সমুদ্রের পানিতে মিশে যাবে, সেগুলো খাবারের সঙ্গে সামুদ্রিক প্রাণির দেহেও প্রবেশ করবে। তাদের জীবনচক্র হুমকির মুখে পড়বে। হংকংয়ের সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা ওশেন এশিয়ার গবেষণা পরিচালক টেলে ফ্লেপস জানান, যদিও সাড়ে ৪ হাজার ৬০০ টন থেকে ৬ হাজার ২০০ টন প্লাস্টিক সামান্য অংশ, কারণ প্রতি বছর সমুদ্রে ৮০ লাখ থেকে এক কোটি ২০ লাখ টন প্লাস্টিক সমুদ্রে পড়ে। মহামারি থেকে বাঁচতে এই বছরই আনুমানিক ৫ হাজার ২০০ কোটি পিস মাস্ক তৈরি হয়েছে। একবার ব্যবহার উপযোগী মাস্কগুলো প্লাস্টিকের তৈরি হওয়ায় এগুলো পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা বেশ কঠিন। কারণ থেকে যায় সংক্রমণের ঝুঁকি। `সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণে কোভিড নাইনটিনের প্রভাব’ সংক্রান্ত রিপোর্টটিতে আরও বলা হয়, এই মাস্কগুলো প্রতি বছর ৮০ লাখ থেকে এক কোটি ৩০ লাখ টন বর্জ্য সমুদ্রে তৈরি করবে।
বিশ্বে প্লাস্টিক বর্জ্যরে পরিমাণ ২০৯০ সাল নাগাদ এখনকার সময়ের তিন গুণে পৌঁছাবে। যখন সামুদ্রিক প্রাণির চেয়ে প্লাস্টিকই সমুদ্রে বেশি দেখা যাবে। লকডাউনে অনলাইনে খাবারসহ অন্যান্য পণ্যের বিক্রি বাড়ায় বেড়েছে প্লাস্টিক প্যাকেজিং আবর্জনার পরিমাণ। অবৈধ প্লাস্টিক বর্জ্য ধ্বংস বেড়েছে কিন্তু বাড়েনি পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ, যা বাড়াচ্ছে পরিবেশ দূষণ। অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে। কিন্তু কোনোটাই তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। খাবারের মাধ্যমে সামুদ্রিক প্রাণির দেহে যাচ্ছে প্লাস্টিক, সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে সেই প্লাস্টিক আসছে মানুষের শরীরে। তৈরি করছে নানা রোগব্যাধি। গবেষণা বলছে, প্রতিবছর প্লাস্টিক দূষণের কারণে সারাবিশ্বে এক লাখ সামুদ্রিক কচ্ছপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা যায়। খাবারের জন্য সামুদ্রিক প্রাণির ওপর নির্ভরশীল ১০ লাখের বেশি পাখি মারা যায়। লাখ লাখ মাছসহ অন্য অনেক সামুদ্রিক প্রাণী মারা যায় প্লাস্টিক দূষণে। মাছ চাষ আর পর্যটনে অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে প্লাস্টিক দূষণে। প্লাস্টিক দূষণে প্রতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির এক হাজার ৩০০ কোটি ডলারের লোকসান হয়। বারবার ব্যবহার করা যায় এমন মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে সমুদ্রে সাধারণ সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত প্লাস্টিকের দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসবে। সে সঙ্গে সঠিক উপায়ে মাস্ক ব্যবহার করা আর নষ্ট করা নিশ্চিত করতে পারলে কমবে সমুদ্র দূষণ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT