চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিপইয়ার্ডে চলতি বছরে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন সাতজন শ্রমিক। এই নিয়ে গত ১৫ বছরে এ শিল্পে ২১৬ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকদের নিয়ে গবেষণাকারী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা)।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী শাহিন। সংবাদ সম্মেলন শেষে নিহত শ্রমিকদের উদ্দেশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী শাহীন বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সম্মতভাবে জাহাজ ভাঙ্গা ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠার দিকে নজর দিচ্ছে।
সীতাকুন্ড শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের একটি প্রতীকি ছবি
গ্রিন ইয়ার্ড তৈরির মাধ্যমে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের আধুনিকায়নে নামছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ইয়ার্ড মালিকরা। কিন্তু সেটি গুটিকয়েক ব্যবসায়ী করছেন। সবই গ্রিন ইয়ার্ডের কাজে হাত দিলে এই শিল্পের চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাবে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত সাতজন শ্রমিকের প্রাণহানী ঘটেছে। গত ১৫ বছরে এ শিল্পে মৃত্যু হয়েছে ২১৬ জন শ্রমিকের। গত পাঁচ বছরে এই সংখ্যা ৭৫ জন।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের আধুনিকায়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ১১ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে হংকং কনভেনশন মেনে জাহাজের ক্ষতিকর বর্জ্যের আইএইচএম তালিকা প্রস্তুত করা, জাহাজ কাটার আগে অনুমতিপত্র পাওয়া নিশ্চিত করা, নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ ও জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’-এর প্রচলন করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী জেসমিন সুলতানা, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উত্পল বড়ুয়া, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সংশপ্তকের প্রধান নির্বাহী লিটন চৌধুরীসহ অন্যরা।
Leave a Reply