বিভিন্ন গাড়ির পুরাতন টায়ার, প্লাস্টিকের দানা, পোড়া লুব্রিকেন্টের সঙ্গে জ্বালিয়ে বানানো হতো নতুন লুব্রিকেন্ট। এরপর প্রতিষ্ঠিত নামিদামি কোম্পানির লেভেল লাগিয়ে তা বিক্রি করতো একটি চক্র। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযানে তৈরির সরঞ্জামসহ ১৩০০ লিটার নকল লুব্রিকেন্ট জব্দ করা হয়েছে। এসময় গ্রেফতার করা হয় চক্রের চারজনকে। অভিযানে তাদের কাছে থাকা নকল লুব্রিকেন্ট বিক্রির ৭ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়। গতকাল সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ঢাকা মেট্রো-পূর্ব) কানিজ ফাতেমা এসব তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর আড়াবাড়ী এলাকায় মামুন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নকল লুব্রিকেন্ট তৈরির কারখানাটির সন্ধান পায় সিআইডি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গ্রেফতার ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে মামুন মিয়ার ওই নকল লুব্রিকেন্ট তৈরি কারখানায় কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। মামুন মিয়ার একতলা একটি ভবনের দুটি কক্ষে নকল লুব্রিকেন্ট তৈরির কারখানাটি।

এখানে বিভিন্ন ধরনের রাবার, পুরাতন টায়ার ও প্লাস্টিকের দানার সঙ্গে ব্যবহার করা পোড়া লুব্রিকেন্ট জ্বাল দিয়ে তারা এই নকল লুব্রিকেন্ট তৈরি করে আসছিলেন। এরপর নানা নামি কোম্পানির লেভেল বোতলে লাগিয়ে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন গ্যারেজে লুব্রিকেন্ট বিক্রি করেন। এছাড়া মহাসড়কের পাশে মবিল বিক্রির দোকানে স্বাভাবিক দামের তুলনায় কম দামেও এই লুব্রিকেন্ট বিক্রি হতো। কারখানার মালিক মামুন মিয়াসহ চক্রের আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া চারজন হলেন- শহিদুল ইসলাম, সুমন মিয়া, বাবুল মোল্লা ও সাইদুল ইসলাম।
Leave a Reply