এখন থেকে ৭৭৭ ও ৭৮৭ উড়োজাহাজ সরাসরি উড্ডয়ন-অবতরণ করবে দেশের সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এ লক্ষ্যে বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ করে সমুদ্র পর্যন্ত আরও এক হাজার ৭০০ ফুট বাড়ানো হচ্ছে। রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য গত বুধবার এক হাজার ৫৬৮ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ছাড়াও এ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে চলমান রয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করতে এই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ হলে এখানে এর মোট দৈর্ঘ্য ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত হবে। বুধবার সরকারের অনুমোদিত প্রকল্প অচিরেই বাস্তবায়ন করা হবে।
বেবিচকের এ চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ ছাড়াও পাঁচ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলছে। কক্সবাজার আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হয়ে উঠলে নেপাল, ভুটান ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটকদের জন্য এ স্থান জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হবে।
বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক বলেন, বর্তমান সরকারের সময় দেশের এভিয়েশন খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প অচিরেই বাস্তবায়ন হবে।
Leave a Reply