দক্ষিণ কোরিয়ার একটি রাসায়নিক ট্যাঙ্কার পারস্য উপসাগরে আটক করেছে ইরান। ১৭৪২৭ ডি ডব্লিউ টি হানুকুক চেমি ট্যাঙ্কারটি সৌদি আরবের আল যুবাইল বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে যাচ্ছিল। ইরানের নৌবাহিনী দেশটির দক্ষিণ বন্দর নগরী বন্দর আব্বাসের দিকে সরিয়ে নিয়েছে ট্যাঙ্কারটি।
পরে ইসলামিক রেভুলিউশন গার্ডস কর্পস নেভি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে, ৭২০০ টন ইথানল বহনকারী ট্যাঙ্কারটি “পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে” আটক করা হয়েছে। পরিবেশ ও রাসায়নিক দূষণ সংক্রান্ত উদ্বেগের বরাত দিয়ে নেভির বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ”ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্বারা আইনী প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য ট্যাঙ্কারটি বন্দর আব্বাসে আটক রাখা হয়েছে।”
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড্রাইড গ্লোবাল এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং বার্মার ২৩ জন ক্রু আছে ট্যাঙ্কারে। ড্রাইড আরও জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণ বিবরণ অস্পষ্ট হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে তারা। ড্রাইডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “গত দুই বছরে ইরান-দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের ব্যাংক থেকে ইরানের তেল বিষয়ক রাজস্ব ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানোয় তেহরান বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জাহাজটি অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে একদিন পরে একটি বিবৃতি জারি করেছে। রয়টার্স আরও জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালীতে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার বাহিনীকে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনাটি ঘটল লিম্পেট মাইন ঘটনার ঠিক পর পরই। জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তরকারী ট্যাঙ্কার এম টি পোলা নোঙর করা অবস্থায় মাইন পাওয়া গেছে। অবশ্য মাইন বিস্ফোরণের আগেই তা সনাক্ত করা হয়। এই ঘটনায় ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, যে জাহাজের ক্রুরা সবাই নিরাপদ আছে। আর মাইনগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।মাইন খুঁজে পাওয়ার আগে ট্যাঙ্কারটি ইরাকি তেল টার্মিনালের কাছে বেশ কয়েক দিন ধরে নোঙর করা ছিল।
Leave a Reply