ড্রোন কী?
ড্রোন শব্দের অর্থ হলো গুঞ্জন। এটি যখন উড়ে চলে, তখন এর শব্দ ঠিক মৌমাছির গুনগুন করে চলার মতো। আর ড্রোন-এর প্রথম শর্ত হলো যে কোনো ড্রোনে অবশ্যই ক্যামেরা থাকবে। খেলনা বিমানগুলো অন্তত ড্রোন নয়। কারণ খেলনা বিমানে ক্যামেরা নেই।
ড্রোন আর বিমান-এর কার্যক্রম মূলত একই, শুধু পার্থক্য হলো বিমানে পাইলট থাকে আর ড্রোনে পাইলট থাকে না; অর্থাৎ ড্রোন হলো পাইলট ছাড়া বিমান।
কীভাবে কাজ করে ড্রোন
যে কোনো ড্রোনই মূলত ইউএভি সিস্টেমে কাজ করে, ইউএভি-এর পূর্ণ অর্থ হলো ‘আনম্যানড এরিয়েল ভেহিকেল’ (Unmanned Aerial Vehicle)। এর আবার দুটি প্রকার রয়েছে : ১) সাধারণ ইউএভি এবং ২) সামরিক ইউএভি। সাধারণ ইউএভিগুলোয় মূলত একটি ক্যামেরা, পাখা এবং কিছু সংখ্যক সেন্সর থাকে, যা পথ দেখিয়ে সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। অন্য দিকে সামরিক ইউএভি-তে ককপিট, স্পাই ক্যামেরা, লেজার, জিপিএস, সেন্সর ও লাইটিং সেন্সর ইত্যাদি থাকে। তবে ইউএভি সাধারণ হোক আর সামরিক হোক, তা অবশ্যই রিমোট-এর সাহায্যে পরিচালনা করতে হয়।
এফপিভি প্রযুক্তি
এফপিভি-এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে- ফাস্ট পারসন ভিউ। অর্থাৎ যে কোনো ড্রোন প্রথম তাকেই টার্গেট করবে, যাকে সর্বপ্রথম মাটিতে দেখবে। এফপিভি-তে যে ক্যামেরা আছে, সেই ক্যামেরা মাটিতে অবস্থানরত যে কারো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে সক্ষম। কিন্তু এ প্রযুক্তি বন-জঙ্গল বা ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম নয়। আর এ কারণেই বিজ্ঞানীরা এফপিভি-এর বিকল্প কিছু চিন্তা করছে।
মধ্য বাজেটের সেরা ড্রোন মেভিক এয়ার ২
‘ডিজেআই’ হচ্ছে একটি টেক ব্র্যান্ড, যেটি তাদের নতুন একটি ড্রোন নিয়ে এসেছে বর্তমান বাজারে। সেটির নাম হচ্ছে ‘মেভিক এয়ার ২’। এর আগেও এর একটি ভার্সন ছিল। সেটির থেকে নতুন এ ড্রোনে অনেক কিছুই আপগ্রেড করে বাজারে নিয়ে এসেছে ‘ডিজেআই’। দেখে আসা যাক, কী আছে এ আপগ্রেডেড ড্রোনে-
এ ড্রোনে রয়েছে ৪কে ৬০এফপিএস ভিডিও রেকর্ডিং সিস্টেম, ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, ৮কে হাইপারলেপস, ৩৪ মিনিটের ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং ১০ কিমি. রেঞ্জের দূরত্ব পর্যন্ত রেকর্ডিং ক্যাপাসিটি।
‘ডিজেআই’-এর নতুন আরেকটি আপগ্রেড, যেটি এ ড্রোনের দূরত্বকে অনেকটা পরিবর্তন করে দিয়েছে? ‘অসিইউ সিংক ২.০’ আপগ্রেডের মাধ্যমে এ ড্রোনটি ১০ কিমি. পর্যন্ত রেঞ্জের ছবি/ভিডিও-এর নজরে আনতে পারবে। যেটি অসাধারণ একটি বিষয়।
এ ড্রোনে আরও দেয়া হয়েছে ‘এডিএস-বি’ নামের একটি সিগন্যাল সিস্টেম, যেটির মাধ্যমে এটি কোনো উড়ন্ত প্লেন বা হেলিকপ্টার সিগন্যাল পাবে। তখন যেটি দিয়ে এটি কন্ট্রোল করা হচ্ছিলো, সেটির মধ্যে নোটিফিকেশন চলে আসবে, সেই প্লেন বা হেলিকপ্টার কতটা দূরত্বে আছে। এতে করে ড্রোনটিকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে আসা যাবে সহজেই।
এ ড্রোনে আরও রয়েছে এপিএএস ৩.০-এর একটি আপগ্রেড, যার মাধ্যমে থ্রিডি ম্যাপ স্ক্যান করতে পারবে এ ড্রোন। ৫৭০ গ্রাম ওজনের এ ড্রোনটির স্টোরেজ ৮জিবি। বাংলাদেশে এর দাম পড়বে প্রায় ৯০ হাজার টাকার মতো।
Leave a Reply