1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বিশ্বখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড খুব শিগগিরই বাজারে আসছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমটি কনসার্টো জাহাজে বাংলাদেশী নাবিকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি লুব্রিকেন্ট আমদানিতে বাড়তি শুল্কায়নে ডলার পাচার বাড়বে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, অপসারণ দাবি

দুই প্রকল্প পরিচালকের কব্জায় সড়ক বিভাগের ১০ প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১

সরকারের অধিকাংশ উন্নয়ন প্রকল্পে যেসব কারণে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির ঘটনা ঘটে, তার একটি হলো একই ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দায়িত্বে থাকা। মূল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একাধিক প্রকল্পের পিডি হলে যথাযথভাবে কাজ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই একই ব্যক্তি যেন একাধিক প্রকল্পের পিডি না হন, সে নির্দেশনা বারবার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তবুও বন্ধ হয়নি একই ব্যক্তির একাধিক প্রকল্পের পিডি হওয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপির ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সওজ । এই ১৪ প্রকল্পের মধ্যে ১০টি প্রকল্পই রয়েছে দুই পিডির হাতে। সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবালের হাতে ছয়টি এবং সওজের বরিশাল সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথের হাতে চারটি প্রকল্প রয়েছে।
এই ১০ প্রকল্পের মাঝে তিনটির অগ্রগতি একেবারেই শূন্য। শূন্য অগ্রগতির তিনটি প্রকল্প হলো তারেক ইকবালের হাতে থাকা ‘ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং মিন্টু রঞ্জন দেবনাথের হাতে থাকা ‘বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর জাতীয় মহাসড়কের মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ ও ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু রক্ষার্থে ৩.৭৬৫ কিলোমিটার নদীতীরে স্থায়ী রক্ষাপ্রদ কাজ’ প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বরিশাল সার্কিট হাউসে এ বিভাগে চলতি অর্থবছরে চলমান ৬৭টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে প্রকল্পগুলোর পিডিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর হাতে ১০টি প্রকল্প থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘দুইজনের হাতে যদি ১০টা প্রকল্প থাকে, এটা কঠিন। এ ধরনের বিষয়ে আরো খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলীর নিজস্ব কাজ আছে। তারপরও ১০টি প্রকল্পের পিডির দায়িত্ব পালন করা ডিফিকাল্ট (কঠিন)।’
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আইএমইডি সচিব হিসেবে মনে করি, একজন মানুষের পক্ষে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করে আরো ছয়টি প্রকল্পের পিডি হয়ে প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেয়া দুরূহ ব্যাপার। এই দিকটা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন যে, এটা কী করে হলো? এই বিষয়টা কীভাবে হলো, আইএমইডি বিভাগ থেকে আমরাও পর্যবেক্ষণ দেব।’
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর হাতে ছয় প্রকল্প : আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল একাই ৬ প্রকল্পের পিডি। এই ছয়টি প্রকল্প হলো, ‘ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘লেবুখালী-রামপুর-মির্জাগঞ্জ সংযোগ সড়ক নির্মাণ’, ‘ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী (এন-৮) জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভ‚মি অধিগ্রহণ’, ‘বৈরাগীরপুল (বরিশাল)-টুমচর-বাউফল (পটুয়াখালী) জেলা মহাসড়ক (জেড-৮৯১০) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প এবং ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ ও ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (বরিশাল জোন)’ প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর নির্দেশনা ভঙ্গ করে ছয় প্রকল্পের দায়িত্ব কেন নিলেন জানতে চাইলে তারেক ইকবাল বলেন, ‘এই প্রশ্ন যখন সরকার আমাকে করবে, তখন তাকে উত্তর দেব। এই প্রশ্নের উত্তর পরিকল্পনামন্ত্রীকে দেব।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালক কি আমি হতে পারি? নাকি আমাকে বানায়? সরকার কীভাবে প্রকল্প পরিচালক নির্ধারণ করেন, সেটা সরকারই ভালো জানেন। সরকারের নিয়ম আছে, সেই অনুযায়ী হয়। এটা কারও ইচ্ছায় হয় না।’
দায়িত্ব নেয়ার সময় একাধিক প্রকল্পের দায়িত্বে থাকার বিষয়টি জানিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘না। প্রকল্প দুই ধরনের। একটা হচ্ছে নিজস্ব জনবল দিয়ে প্রকল্প করায়, আরেকটা হচ্ছে নতুন জনবল দিয়ে করায়।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নিয়ন্ত্রণে চার প্রকল্প: সওজের বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথের হাতে থাকা চার প্রকল্প হলো, ‘বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশাল (চরকাউয়া) হতে ভোলা (ইলিশা ফেরিঘাট) হয়ে লক্ষীপুর পর্যন্ত মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ এবং ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) রক্ষার্থে ৩.৭৬৫ কিলোমিটার নদীতীরে স্থায়ী রক্ষাপ্রদ কাজ’ প্রকল্প, ‘রাজাপুর-কাঁঠালিয়া-আমুয়া-বামনা-পাতরঘাটা মহাসড়ক (জেড-৮৭০৮) উন্নয়ন’ এবং ‘চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়ীয়া-পাথরঘাটা (জেড-৮৭০১) সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পের অগ্রগতি শূন্য আর দুটির ৫০ শতাংশের বেশি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT