পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই বায়ু মন্ডলে কার্বনের উপস্থিতি কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছে। এই নিয়ে প্যারিস ক্লাইমেট চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। এ চুক্তির লক্ষ্য, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের পর্যায়ে নিয়ে আসা। চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। তেল ছাড়াই জাহাজ চালানোর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে তারা। বিদ্যূৎচালিত ফেরি নির্মাণ করতে যাচ্ছে দেশটি। ২০৩০ সালের মধ্যে যাত্রীবাহী ১০০টি বিদ্যূৎচালিত ফেরি নির্মাণ করবে কোরিয়ানরা। বর্তমানে রাষ্ট্র চালিত ১৪০টি ফেরির পরিবর্তে নতুন বিদ্যূৎচালিত ফেরি নির্মাণ করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই কর্মযজ্ঞে সহায়তা করছে পি অ্যান্ড ও ফেরি, ওয়াশিংটন স্টেট ফেরি এবং প্রযুক্তি সংস্থা এবিবি। দক্ষিণ কোরিয়ার শহর বুসানের একটি ছোট অ্যালুমিনিয়াম-জাহাজ শিপইয়ার্ড হাইমিন হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ ১০০টি বৈদ্যুতিক ফেরি তৈরি করবে। হেইমিন হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিয়ং-সেওক ওহ বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারের জন্য প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণ করা সম্মানের বিষয়। আমরা এবিবির সাথে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি, যারা প্রযুক্তিখাতে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় দীর্ঘদিন কাজ করেছে। আর এবার তারা যুগান্তকারী প্রকল্পের মূল অংশ হিসেবে কাজ করবে।”
নতুন ক্যাটামারান ফেরি বন্দরের উত্তর ও দক্ষিণ দিকের যাত্রীদের শাটলিং করবে। প্রায় ১৩ নট গতিবেগে পরিচালিত হবে এসব ফেরি। একটি পূর্ণ ফিরতি যাত্রা শেষ করতে প্রায় এক ঘন্টা সময় নেবে। ফেরিতে দুটি ওয়ান-মেগাওয়াট-ব্যাটারি প্যাক থাকবে যা চার্জ শেষ হওয়া পর্যন্ত চারটি রিটার্ন ভ্রমণের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করবে। রাত্রে থামার সময় জাহাজটি তীরে থাকা বিদ্যুৎ থেকে রিচার্জ করবে। এবিবি প্রপালশন এবং সমস্ত সহায়ক পাওয়ার লোডগুলির জন্য ডিসি গ্রিড বিতরণ সিস্টেম এবং বিদ্যুৎ শক্তি পরিচালনার সিস্টেম সরবরাহ করবে। জাহাজকে সম্পূর্ণ কার্বনমুক্ত করার জন্য বিদ্যুতায়ন সবচেয়ে জনপ্রিয় বিকল্প। মেরিটাইম ব্যাটারি ফোরামের মতে, বর্তমানে ১৩০ টিরও বেশি ব্যাটারি চালিত ফেরিগুলির কাজ চলছে এবং আরও 90 টিরও বেশি অর্ডার রয়েছে।
Leave a Reply