সম্প্রতি নর্থইস্ট আটলান্টিক কোস্টলাইনে রেকর্ড পরিমাণ তুষারপাত হয়েছে। এবার এই অঞ্চলে ঝড়ের কবলে পড়ে এক নাবিকের মৃত্যূ হয়েছে। পাশাপাশি আরও তিনজন নাবিক আহত হয়েছে। পন্যবাহী একটি জাহাজ নিয়ে আটলান্টিক পাড়ি দিচ্ছিলেন এই নাবিকেরা।
ডি’অ্যামিকো গ্রুপের ৩৯ হাজার টন ধারণক্ষমতার জিউলিয়া আই জাহাজটি গত ২৬ জানুয়ারি ভার্জিনিয়ার নরফোক থেকে আটলান্টিক পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটির তিউনিসিয়া যাওয়ার কথা। কিন্তু মাঝ পথেই ঝড়ের কবলে পড়ে। ঝড়ো বাতাস শুরু হতেই জাহাজ থেকে কর্তৃপক্ষকে সাবধান করা হয়। ঝড় ধীরে ধীরে তীরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ২০ জন ফিলিপাইনের নাবিক জাহাজটি পরিচালনা করছে। গত ৩০ জানুয়ারি স্থানীয় সময় বেলা ২টায় একটি ডিসট্রেস কল প্রচার করা হয় জিউলিয়া আই জাহাজ থেকে। জাহাজের ক্যাপ্টেন জানান, কানাডার নোভা স্কটিয়া থেকে ৩২০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে বড় ধরণের ঢেউ জাহাজে আঘাত করতে থাকে।
দুর্ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানানো হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, ৩০ বছর বয়সী একজন নাবিক গুরুতর আহত হওয়ার পর মৃত্যূবরণ করেছেন। এছাড়াও তিনজন আহত হয়েছেন। এই আঘাতের পর জাহাজটি কানাডার হ্যালিফ্যাক্সের দিকে যাত্রা করে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেখানে পৌঁছায়। হালিফ্যাক্সের আঞ্চলিক পুলিশ জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নাবিকের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করছে।
আন্তর্জাতিক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের (আইটিএফ) পরিদর্শক কার্ল রিসর ক্রুদের সাথে বৈঠক শেষে সিবিসিকে বলেছেন, ‘জাহাজের নাবিকরা মানসিক আঘাত পেয়েছেন।’ আইটিএফ ক্রুদের সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ করছে। পাশাপাশি কানাডার বর্তমান ভ্রমণ বিধিনিষেধ মেনে নাবিকরা তীরে নামতে পারবে কি না তা দেখছে।
ট্রান্সপোর্ট কানাডা বলেছে, ঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে জাহাজটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং পাশাপাশি যাত্রা শুরু করার আগে জাহাজের সবদিক ঠিক আছে কি না তাও পরীক্ষা করা হবে। তারা জাহাজের নাবিকদের অধিকারগুলোও যেনো সুন্দরভাবে আদায় করা হয় তা তদারকি করবে।
জাহাজে মৃত্যু ঘটায় রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশও আলাদাভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।
Leave a Reply