মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইউএস নেভির দুটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার দক্ষিণ চীন সাগরে এক এক্সারসাইজে অংশ নিয়েছে। এর মাধ্যমে জো বাইডেন প্রশাসন মূলত চীন ও রাশিয়াকে সতর্ক বার্তা দিয়ে রাখল। মহাসাগরে নিজেদের আধিপত্য থেকে পিছনে সরবে না মার্কিনীরা।
ইউএসএস নিমিটজ এবং ইউএসএস রুজভেল্ট এবং এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার দুটির এসকর্ট জয়েন্ট এক্সারসাইজে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে। দক্ষিণ চীন সাগরে এই সামরিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে সতর্ক করার পাশাপাশি মিত্র পক্ষকে নিশ্চিত করতে চেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস নেভির রিয়ার এডমিরাল ডাগ ভ্যারিসিমো বলেন, ‘এ অপারেশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা শান্তি রক্ষার জন্য যেকোনো ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। আমাদের মিত্রদেরকেও বলতে চাই যে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর সকলের জন্যই নিরাপদ।’
এর আগে গত বছরের জুলাইতে দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নিয়ে সামরিক প্রদর্শনী করেছিল মার্কিনীরা। সেসময় ইউএসএস নিমিটজের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল ইউএসএস রোনাল্ড রেগ্যান। সিএসজি ১১ এর কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল জিম কার্ক বলেন, ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ ৯ এর সঙ্গে কাজ করে আমাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি মহাসাগরীয় এ এলাকার শান্তিও নিশ্চিত হয়েছে। আমরা আইনানুগ পদ্ধতিতে মহাসাগরের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই।’
ইউএসএস নিমিটজ গত বছরের এপ্রিলে ব্রেমের্টন থেকে যাত্রা করে বেশ কয়েক মাস মধ্য প্রাচ্যে অবস্থান করেছে। বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার মধ্য প্রাচ্যে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল। গত ডিসেম্বরে ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট স্যান ডিয়েগো থেকে যাত্রা করে ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য।
চীনা কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে। এই এলাকায় মার্কিন উপস্থিতি কোনোভাবেই মানতে পারছে না চীনারা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র ওয়াঙ ওয়েনবিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঘন ঘন নিজেদের এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার পাঠাচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগরে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের শক্তি দেখাতে চায়। এই এলাকায় এভাবে শান্তি রক্ষা করা যাবে না। চীন নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
Leave a Reply