সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান শুরু করা হবে। ইতোমধ্যেই লাইসেন্সের খসড়া প্রিন্ট শুরু হয়েছে। কার্ডের মান ও প্রিন্ট কোয়ালিটি চুক্তি অনুযায়ী হতে হবে। গতকাল সকালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন সেতুমন্ত্রী। মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন।
গুণগত ও স্মার্ট কার্ডের বৈশিষ্ট্য যা যা থাকার কথা তার কোনোটির সাথেই আপস করা যাবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর যেন দেরি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে মনিটর করতে হবে। তিনি বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত কার্ড সংগ্রহ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে হবে।
বিআরটিএ’র সেবার মান বৃদ্ধি, বিভিন্ন যানবাহন সেবায় গতি আনা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, গুটি কয়েক অনিয়মকারীর জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের বদনাম হতে পারে না। বিআরটিএতে দালাল ধরতে ম্যাজিস্ট্রেটদের আরো তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
বিআরটিএকে সত্যিকার অর্থে সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনো দালালদের দৌরাত্ম্য আছে। অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে বাইরের সুবিধাভোগীদের সখ্যতায় গড়ে উঠেছে এ চক্র। মন্ত্রী চেয়ারম্যানকে শক্ত হাতে এসব অনিয়মের চক্র ও দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধের নির্দেশ দেন।
বিআরটিএতে তদবির বাণিজ্য বন্ধ করার কঠোর নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেসব কর্মকর্তা এসবের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যানবাহনে ফিটনেস গ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে সেবা সহজিকরণ এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দেশের যে কোনো সার্কেল অফিস হতে যানবাহনের ফিটনেস সনদ নেয়া যাচ্ছে। আগে ফিটনেস দেয়া হতো এক বছরের জন্য। এখন দেয়া হয় দুই বছরের জন্য। মন্ত্রী বলেন, সরাসরি ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসেই ১৮টি ব্যাংকের চারশ’র বেশি শাখা ও বুথে মোটরযানের বিভিন্ন ফি জমা দিতে পারছেন গ্রাহকরা।
Leave a Reply