২০২১ সাল থেকে দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দেশের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নতুন রেলওয়ে রুটে ট্রেনগুলো চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে প্রথম রেলওয়ের কার্যক্রম শুরু হয় ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর। স্থাপন করা হয় প্রথম ব্রডগেজ লাইন। রেলযুগে প্রবেশের পরবর্তী দেড়শ বছরে সারাদেশে রেললাইন বিস্তৃত এবং বহুগুণে প্রসার হয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সেবার আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে যৎসামান্য।
এবার বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-চট্টগ্রাম রেলপথকে বৈদ্যুতিক ট্রেনের আওতায় আনছে সরকার।
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর কেন্দ্র করে এ রেলপথকে বৈদ্যুতিক সুবিধার আওতায় আনতে চাইছে সরকার। এতে যাত্রী ও পণ্যপরিবহনে খরচ কমবে। সাধারণত বৈদ্যুতিক ট্রেন চলাচলে খরচ খুবই কম, গতি থাকে বেশি। পরিবেশবান্ধব এই ট্রেনে ২০০ কিলোমিটার গতিতে এক সঙ্গে ১০টি ট্রেন চললে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম রেলওয়ে ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনার কথাও সাংবাদিকদের বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালুর বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি এই পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন।”
তিনি আরও জানালেন, তার মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। যেসব রুট নির্বাচন করা হয়েছে সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে স্থাপনা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।
এখনও পর্যন্ত তিনটি রুটের কথা ভাবছেন তারা। ঢাকা থেকে পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অব্দি একটি রুট। দ্বিতীয়টি হল চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত। তৃতীয়টি যাবে খুলনা থেকে মংলা বন্দরে। এসব রুটে নতুন রেললাইন তৈরি হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর অন্তর্ভুক্ত ‘পদ্মা রেল লিংক প্রজেক্ট’-এর প্রথম পর্যায়ের অধীনে ঢাকার কমলাপুর থেকে ভাঙ্গায় রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। এটি হবে ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। ২০২১ সালের মধ্যে এ প্রজেক্টের কাজ শেষ হবার কথা। পদ্মা সেতু চালু হলেই এ রুটে ট্রেন-চলাচল শুরু হবে।
Leave a Reply