পশ্চিম আফ্রিকায় জলদস্যূদের উৎপাত অনেক বেড়ে গেছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জাহাজে জলদস্যূদের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাইরেজিয়ান জলদস্যূদের দায়ী করা হয়েছে এসব ঘটনার জন্য। নিজেদের বদনাম ঘুচাতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে নাইজেরিয়া। জলদস্যূদের মোকাবেলা করতে নিরাপত্তাবাহিনীতে নৌ শক্তি বাড়াতে যাচ্ছে নাইজেরিয়া। বেশ কয়েকটি জাহাজ ও এয়ারক্রাফট যোগ করবে দেশটি।
ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী নাইজেরিয়া ১৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৬৫৩ কোটি টাকা) খরচ করবে নিরাপত্তাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে। পাশাপাশি তারা ইসরাইলি সিকিউরিটি ফার্মকে জাহাজ ও এয়ারক্রাফট দিয়ে সাহায্য করবে সমুদ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। স্থানীয় যে কোম্পানি এতদিন নাইজেরিয়াকে বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট সাপ্লাই করেছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এবার থেকে নাইজেরিয়া ইসরাইলের ব্লু অক্টাগোন কোম্পানির মাধ্যমে নিরাপত্তা বিষয়ক পন্য কিনবে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই নাকি নতুন অস্ত্রে সজ্জিত হবে নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী।
নাইজেরিয়ার ট্রান্সপোর্ট মিনিস্টার ব্লুমবার্গকে বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণে বোট থাকবে যাতে আমরা সব সময়ই পানিতে নজরদারি করতে পারি। বোটের পাশাপাশি থাকবে এয়ারক্রাফট এবং ড্রোনও। প্রয়োজনীয় মুহূর্তে জবাব দেওয়ার মতো শক্তিও থাকবে আমাদের।’
#DeepBlueCountdown From Onne to Lagos, we are counting down to deployment day. Our fast-moving interceptor boats will be crucial for interdiction purposes. I thank the Nigerian Navy for all the great support they have continued to extend to @nimasaofficial. They are the best pic.twitter.com/0Vt8C3D9KZ
— Dr. Bashir Jamoh, OFR (@JamohBashir) February 27, 2021
নিরাপত্তা বিশ্লেষক কোম্পানি দ্রিয়াদ গ্লোবাল এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছর অন্তত ১৩০/১৪০ জন নাবিক অপহৃত হয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকায়। এই সময়ের মধ্যে অনেকবারই অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির ঘটতো তো ছিলই। পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় অঞ্চল বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবি করেছে দ্রিয়াদ গ্লোবাল। এই এলাকায় বর্তমানে নাবিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। আর এক্ষেত্রে নাকি নাইজেরিয়ান জলদস্যূরাই সবচেয়ে বেশি দায়ী। এ কারণেই নিরাপত্তাবাহিনীর শক্তি বাড়াচ্ছে নাইজেরিয়ান সরকার।
Leave a Reply