1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

পরিবহন শ্রমিকদের ডোপ টেস্টের খবর নেই

সানমুন আহমেদ
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১

দেশে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা। আর এসব দুর্ঘটনার বেশিরভাগের নেপথ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদক সেবনই দায়ী বলে মনে করেছেন গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্য, রাজধানীর বেশিরভাগ বাস টার্মিনালে এখনো চালক ও তাদের সহকারীদের প্রকাশ্যে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। এটি বন্ধে সরকার একের পর এক উদ্যোগ নিলেও সঠিক বাস্তবায়ন না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। থামানো যাচ্ছে না এসব সড়ক দুর্ঘটনাও।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর সারা দেশে সড়কে ৪ হাজার ৮৯১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৬৮৬ জন নিহত এবং ৮ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন। সংগঠনটির দাবি, গণহারে ডোপ টেস্ট শুরুর কথা বলা হলেও সেটি করেনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। আর এ সুযোগে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে বেড়াচ্ছে চালক ও তাদের সহকারীরা।
সরেজমিন গত রবিবার রাজধানীর গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে চালক ও তার সহকারী মাদক সেবন করছে। অবশ্য দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তারা মাদক সেবন করছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, সেখানে অহরহ চালক ও তাদের সহকারীরা বাসে বসে মাদক সেবন করে।
পুরান ঢাকার সদরঘাট (ভিক্টোরিয়া পার্ক) বাসস্ট্যান্ডে বিহঙ্গ পরিবহনের চালক মো. তুষার বলেন, ‘এক সময় মাদক সেবন করতাম। এখন আগের মতো আর সেবন করা হয় না। পরিবার থেকে শুরু করে সব জায়গায় লোকজন খারাপ বলায় ছেড়ে দিয়েছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক চালক বলেন, ‘মাথা ঠিক রাখার কারণে মাদক সেবন করি। সারা দিন বাসে যাত্রীদের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয়। সেজন্য মাথা ঠিক রাখার জন্য অন্য কোনো ওষুধ না থাকায় আমরা (চালকরা) মাদক সেবন করি।’
গত বছর ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চালকদের ডোপ টেস্ট করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় তিনি বলেন, ‘যারা গাড়ি চালাচ্ছে, তারা মাদক সেবন করে কি না, সে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে রাখতে হবে। ডোপ টেস্টের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করা দরকার। প্রত্যেকটা চালকের এই পরীক্ষাটা একান্তভাবে অপরিহার্য। সব চালককে এই পরীক্ষা করাতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পর কিছুটা নড়েচড়ে বসে বিআরটিএ। গত ২৭ অক্টোবর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে একটি বৈঠক হয়। সেখানে এ নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু এখনো কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আমরাও চাই ডোপ টেস্ট করা হোক। এই নিয়ে একটা মিটিং করা হয়েছে। বিআরটিএ ও মন্ত্রণালয়ে একটা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এটার অগ্রগতি সম্পর্কে আর জানা নেই। সরকার ডোপ টেস্ট চালু করলে সবরকম সহযোগিতা আমরা করব।’
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘২০০১ সালে চালকদের ডোপ টেস্ট করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তখন অনেকেই আমাকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছিলেন। যখন অধিকাংশ চালক মাদকাসক্ত প্রমাণ পেলেন, তখন সবাই ডোপ টেস্ট নিয়ে আলোচনা করলেন। কারণ সড়ক দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় ও প্রধান কারণ চালকদের এই মাদক সেবন।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT