মঙ্গলবার রাতে উত্তর আটলান্টিকে এক বিপদজনক অভিযান পরিচালনা করল ইউএস ও কানাডিয়ান কোস্টগার্ড এবং রয়্যাল কানাডিয়ান এয়ারফোর্স। তিন বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় ডুবতে থাকা মাছ ধরা নৌকা থেকে উদ্ধার পেলেন ৩১ জন মানুষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নাবিক।
হ্যালিফ্যাকেক্সর ১৩০ মাইল দক্ষিণে উত্তর আটলান্টিকে একটি ট্রলার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে ডুবে যাচ্ছিল। এসময় রয়্যাল কানাডিয়ান এয়ারফোর্সের একটি হেলিকপ্টার ২৭ জনকে উদ্ধার করে। বাকি চারজনকে কানাডিয়ান কোস্ট গার্ড নিজেদের জাহাজে তুলে নেয়। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় হ্যালিফ্যাক্সের কানাডিয়ান জয়েন্ট রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার থেকে ইউএস কোস্ট গার্ডের ফার্স্ট ডিস্ট্রিক্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আটলান্টিক ডেসটিনি নামক মাছধরা নৌকা থেকে সাহায্য চেয়ে মেডে কল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। নৌকাটি ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় সাগরে ভাসছিল। আগুন ধরে গিয়েছিল নৌকায়। পাশাপাশি পানি ঢুকছিল। নাবিকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ইঞ্জিন চালু করতে পারছিল না। এ খবর জেনে কোস্ট গার্ডের জেহওক হেলিকপ্টার, ওশেন সেনট্রি এসএআর এয়ারপ্লেন এবং রয়্যাল কানাডিয়ান এয়ারফোর্সের একটি হেলিকপ্টার উদ্ধারকার্যে এগিয়ে যায়।
This ship was sinking in the Atlantic Ocean last night.
Search and Rescue Technicians jumped down to the vessel to help hoist crew members to waiting Canadian and American aircraft.
All 31 crew members are safe today. pic.twitter.com/nrwDzFl5jV
— Canadian Forces in 🇺🇸 (@CAFinUS) March 3, 2021
উদ্ধারকায বেশ কঠিন হয়ে যায় উত্তাল সমুদ্রে। ৩৫ মাইল গতিবেগে বাতাস বইছিল। ঢেউগুলো ২৬ ফুট উঁচু ছিল। প্রথম উদ্যোগে ছয় জন নাবিককে উদ্ধার করে এয়ারফোর্সের হেলিকপ্টার। পাশাপাশি নিজেদের টেকনিশিয়ানকে নৌকায় নামিয়ে দেয় পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে। পরবর্তীতে আরও ২১ জনকে উদ্ধার করে নোভা স্কচিয়ার ইয়ারমাউথে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জেলেদের মেডিকেল চেক-আপ করা হয়। সবাইকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
ইউএস কোস্ট গার্ডের ফিলিপ মোরালেস বলেন, ‘এটা খুব ভয়াবহ একটি উদ্ধার অভিযান ছিল। উত্তাল পরিস্থিতিতে এয়ারক্রাফট নিয়ন্ত্রণ করা এবং পাশাপাশি লোকদের উদ্ধার করাটা বেশ কঠিন ছিল। অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
আটলান্টিক ডেসটিনি মাছধরা নৌকাটি ১৪০ ফুট দীর্ঘ একটি ট্রলার। কানাডায় রেজিস্ট্রার করা। এর আগে ২০১৭ সালেও নৌকাটি বিপদে পড়েছিল। তবে সেবার কোনরকমে পাড় পেয়ে যায়। কানাডার ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড জানিয়েছে, নৌকাটি বেশ কয়েকবারই ইঞ্জিন বন্ধের শিকার হয়েছে।
Leave a Reply