চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার জাহাজের বার্থিং পেতে বিলম্বের কারণে বিপাকে পড়ছে আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্টরা। কোনো কোনো জাহাজকে বন্দরে আসার পর বার্থিংয়ের জন্য পাঁচ থেকে ছয় দিন পর্যন্ত বহির্নোঙরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
একাধিক শিপিং এজেন্টের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কাজের গতিশীলতা কমে যাওয়ায় প্রায় দুই মাস কলম্বো সমুদ্র বন্দরে বড় ধরনের কনটেইনার জটের কবলে পড়েছিল চট্টগ্রাম বন্দরমুখী অসংখ্য আমদানি পণ্যের কনটেইনার। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর গত এক মাস ধরে এসব কনটেইনারবাহী জাহাজ একের পর এক চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে শুরু করলে এসব জাহাজ যথাসময়ে বার্থিং দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বন্দর কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মাত্র চার মাস আগেও বিভিন্ন সময় বহির্নোঙর কনটেইনার জাহাজশূন্য থাকতে দেখা গেছে। আর গত বুধবারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বন্দরে ২৫টি কনটেইনার জাহাজের মধ্যে ১৪টি বার্থিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে বহির্নোঙরে। আর জেটিতে কনটেইনার খালাসের কাজ চলছিল ১১টিতে। এদিন বন্দরে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা ৯২টি জাহাজের মধ্যে জেটিতে ছিল ২৩টি ও বহির্নোঙরে ৬৯টি।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে একসঙ্গে ৯ থেকে ১১টা পর্যন্ত কনটেইনার জাহাজ বার্থিং দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই একসঙ্গে বেশি জাহাজ চলে এলে জাহাজগুলোর বার্থিং পেতে বিলম্ব হয়।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আজমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘কলম্বো বন্দরে যখন জট সৃষ্টি হয়েছিল তখন জাহাজের সংখ্যা কম থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বার্থিং পাওয়া যেত। কলম্বো বন্দরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার পর এখানে কনটেইনার জাহাজের বার্থিং টাইম পাঁচ-ছয় দিন বিলম্ব হচ্ছে। এতে আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্ট উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
তবে বার্থিং সময় গড়ে দুই-তিন দিনের মধ্যে রয়েছে দাবি করে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কারণে কোনো জাহাজ বার্থিংয়ে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। যেমন বেশি গভীরতার জাহাজ হলে কিংবা গিয়ারলেস জাহাজ হলে সেগুলো নির্দিষ্ট জেটি খালি থাকা সাপেক্ষে বার্থিং দেওয়া হয়। আমাদের হিসাবে এখন গড়ে জাহাজের বার্থিং টাইম দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে রয়েছে।
Leave a Reply