বিভিন্ন প্রকার ট্রভেলার/টুরিস্ট আছে আমাদের সমাজে/দেশে। কে নিজেকে কত নাম্বার মনে করেন, আর আপনার পরিচিত জনদের কত নাম্বার ক্যাটাগরিতে মনে করেন নিজেরাই বিচার করতে পারেন!!
১. ফুরফুরা ট্রাভেলারঃ
এরা সব সময় ভালো মেজাজে থাকে। সব কিছুতেই অংশগ্রহণ করে, হাসাহাসির উপরেই ট্রিপ শেষ করে দেয়। এরা ট্রাভেলার শ্রেণীর সবচেয়ে ঝামেলা মুক্ত এবং সকলের পছন্দের অবস্থানে থাকে।
২. চিল ট্রাভেলারঃ
এরা সবকিছুতেই “আচ্ছা হইলো” টাইপের। সবাই যা ডিসিশন নেয়, তাতে তেমন সমস্যা নাই। খাওয়া থেকে ঘুমানো, একটা হলেই হলো; না হইলেও হইলো!
৩. ম্যান্দা ট্রাভেলারঃ
কোন কিছুতেই যার কোন আগ্রহ নেই, এবং সর্বোচ্চ হাসির কথায়ও হাসে না। এরা বাড়িতে থাকলে মনে হয় কেন যে বাড়িতে আছি, যাই ঘুরে আসি। ঘুরতে আসলে ভাবে কেন যে ঘুরতে আসছি হুদাই।
৪. ফুর্তিবাজ ট্রাভেলারঃ
সারাক্ষণ শয়তানি ফাইজলামির মাধ্যমে ফুর্তিতে মেতে থাকে এবং অন্যকে মাতিয়ে রাখে। গান-বাজনা, বিনোদনে সব সময় হাজির থাকে। এরা ঘুরতে আসলে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করে নেয় নিজেদের মতন করে।
৫. ভাবুক ট্রাভেলারঃ
এরা যেখানেই যাবে, উদাস নয়নে আকাশ-তারা-বাতাস-পানির দিকে তাকিয়ে থাকবে। খেতে-ঘুমাতে যাওয়ার সময় যাদের বেশ ডেকে উঠাতে হয়। মাঝে সাঝে হুট করে বলে উঠে “এই যে মুরগিটা, এটা কি আদৌ আমাদের পাতেই যাবার কথা ছিলো”! বলেই আবার এক দৃষ্টিতে মুরগির হাড়ের দিকে তাকিয়ে থাকে আর এদিক দিয়ে মুরগির রান চিবিয়ে ফানা করে ফেলে!
৬. খাদক ট্রাভেলারঃ
ট্রিপে এদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় খানা খাইদ্য। যেখানেই খাবার দেখবে, সেখানেই তার উপস্থিতি থাকবে সরব। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিজে খেতে এবং অন্যকে খাওয়াতে পছন্দ করে। কেউ আবার অন্যদের ভাংগিয়ে খায়, খেতেই থাকে। এরা দেড় কেজি গরুর মাংস খেয়ে শেষে দই খাওয়ার সময় বলে “আরেকটু দই দেন তো দাদা। খাওয়ার মধ্যে দইটাই একটু খাই”!
(বিঃদ্রঃ- আমার সাথে এর কোন রকম মিল খুঁজে পেলে তা পুরোই কাকতালীয়।)
৭. “একটা ছবি তুলে দিবেন” ট্রাভেলারঃ
এরা আজকাল চারপাশে ছড়িয়ে গেছে ধুম্রজালের মতন। এরা ট্রিপে গেলে পরিচিত-অপরিচিত সবার কাছে দিনে-রাতে, এমনকি মাঝ রাতেও আবদার নিয়ে ছুটে যায়। এদের আবদার কেবল একটাই!
“একটা ছবি তুলে দিবেন”? এক্ষেত্রে এরা বেশিরভাগ সময়ই নিজের মোবাইলখানা এগিয়ে দিয়ে ভদ্রতার সহিত আবদার করে। তবে এদের চোখে ডি এস এল আর নামক মেশিনখানা পড়লে তাহার মালিককে দ্রুত পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মানুষ বানিয়ে ফেলে।
৮. কম্পলেইন ট্রাভেলারঃ
এরা কম্পলেইন এর ব্যকরণ বানায় একের পর এক।
লাঞ্চ গোসলের আগে দিলে বলবে ভাই লাঞ্চ কি গোসলের পরে করা যায়! আর গোসলের পরে দিলে বলবে গেস্টদের না খাইয়ে মেরে ফেলবেন নাকি আপনারা!
খাবারে ঝাল হলে বলবে ভাই কি কম খাওয়ানোর জন্য ঝাল বাড়িয়ে দিসেন! ঝাল কম দিলে বলবে মরিচের টাকা বাঁচায়া ফেলসেন ভাই!
৯. হুড়ুইল্লা ট্রাভেলার(আইলসা স্বভাবের)ঃ
এরা ঘুরতে আসলে নড়তে চড়তে চায় না সেভাবে। শুইলে বসে না, বসলে খাড়ায় না, খাড়াইলে চলে না টাইপ। এরা মোটামুটি শুয়ে বসেই ট্রিপে পুরো সময় কাটিয়ে দেয়।
১০. গাল ফুলা ট্রাভেলারঃ
এরা কথায় কথায় গাল ফুলিয়ে বসে থাকে। কখন যে কোন কথায় মন খারাপ করে গাল ফুলিয়ে রাখবে সেটা আপনিও বুঝবেন না, সে-ও বুঝবে না। আবার জিজ্ঞেস করলে হুট করে ক্ষেপে যায়, আর তখন তার উত্তর হয় এমন ” হ্যা, এখন তো বুঝবা-ই না কি করসো”! তখন আপনি ভাবতে থাকবেন নিরুপায় হয়ে “আসলে হইসে টা কি”!!
১১. হা হা ট্রাভেলারঃ
এরা খুব মজার ক্যারেক্টার। এরা সাধারণ কথাবার্তা বলেও খুব হাসির কিছু বলেছে ভেবে নিজেই হাসতে থাকবে “হ্যা হ্যা” করে। এদের নিয়েই ট্রিপে সবচেয়ে বেশি অফলাইন আলোচনা হয় আর সবাই মজা নেয়।
১২. সবজান্তা ট্রাভেলারঃ
পৃথিবীর যে কোন বিষয়ে তারা আগ বাড়িয়ে কথা বলবে। কোন যায়গা, কিংবা যে কোন বিষয়ে না জানলেও আন্দাজে কিছু একটা বলে দিয়ে অংশগ্রহণ করবে, কারণ “অংশগ্রহণ ই বড় কথা”! এরা খুব সহজেই সবার চোখে ইরিটেটিং হয় এবং এদের একটা এন্টি টিম হয়ে যায় ট্রিপে, যারা তার সাথে সিরাম মজা নেয়। ট্রিপ শেষে তাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি স্মৃতি রোমন্থন হয় অবশ্য!
১৩. বুজুর্গ ট্রাভেলারঃ
এই বুজুর্গ বয়সে না, এরা ঘুরাঘুরি বিষয়ে কোন কথা উঠলেই উমুক সালে তুমুক ছিলো, এই সালে আমি উই করেছিলাম, সেই সময় এই ছিলো। প্রথম দুই একবার আপনার ভালো লাগবে, কিন্তু পরে প্রতি বিষয়েই তাদের বুজুর্গানা আর নেয়া যায় না!
এদের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা ফ্লোর পেলে আর ছাড়তে চায় না। এরা ভাবে এদের গল্প সবাই মন দিয়ে শুনছে! এদিকে অন্যদের অবস্থা কাহিল!!
” ইন দা ইয়ার অফ ১৯৭৫…….”
১৪. পয়সা উশুল ট্রাভেলারঃ
এদের সব কিছুতে এদের টাকা কতটা উশুল হচ্ছে সেই হিসেব নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কত টাকার খেলাম, কত টাকার রুমে থাকলাম, কত টাকা উশুল হলো এই হিসেব নিয়ে ভাবতে থাকে। এরা অবশ্য কাজের মান বাড়াতে খুবই উপকারী, তবে এরা নিজেরা ট্রিপে উপভোগ করতে পারে কম।
১৫. তুলনা ট্রভেলারঃ
এরা সব কিছুতেই তুলনা করবে। এর সাথে ওর তুলনা, এই কোম্পানির সাথে ওই কোম্পানির তুলনা। এসির সাথে নন এসির তুলনা, আমের সাথে কাঠালের তুলনা।
১৬. “ধুর” ট্রাভেলারঃ
এরা পুরো পৃথিবীকে একটা শব্দের আওতায় নিয়ে আসে। সাগরে গেলে কয় “ধুর কই ঘুরতে আইলাম, পানি দেখার কি আছে”! পাহাড়ে গেলে কয় “ধুর, পাহাড়ের জন্য কিছুই দেখা যায়না”!
গরম খাইলে কয় ” ধুর, এতো গরম খাওয়া যায় নাকি!” ঠান্ডা খাইলে কয় “ধুর, এই ঠান্ডা খাওয়ার চেয়ে না খাওয়াই ভালো ছিলো”! চা সাধলে কয় “ধুর, ঘুরতে আইসি, জুস খামু”! জুস সাধলে কয় ” ধুর, জুস খাওয়ার জিনিস হইলো, কফি খামু”!
১৭. অস্থির ট্রাভেলারঃ
এরা খুবই অস্থির আর সবকিছুতে অসন্তুষ্ট থাকে। কেন দেড় মিনিট আগে বের হইলাম, কেন রাস্তায় ঝাঁকি, কেনো এই হচ্ছেনা, কেনো ওই হচ্ছেনা, সাজেকে কেনো প্যারাগ্লাইডিং নাই, সেইন্ট মার্টিনে কেনো গিজার নাই, কেন এই হলো- কেনো ওই হলো না! এদের মন সব সময় অস্থির।
১৮. ওয়ারড্রব ট্রাভেলারঃ
এরা ট্রিপে গেলে ২-৩ টা ট্রলি ভরে শুধু কাপড় আর মেকাপ নিয়ে যায়। বাসার ওয়ারড্রবে যত কাপড়, মোটামুটি সব নিয়ে আসে সাথে। ২ মাসের বাচ্চার মতন ঘন্টায় ঘন্টায় কাপড় বদলে ফেলে! এই স্বভাব কোন নতুন কাপলের থাকলে তো কেল্লা ফতে, মানুষজন একে অন্যের দিকে চাওয়া-চাওয়ি করে মনে মনে অনেক কিছু ভেবে নিয়ে। অথচ এরা একেবারেই নেক “ওয়ারড্রব ট্রাভেলার”!
১৯. কনফিউজড ট্রাভেলারঃ
এরা ট্রিপের আগে কোথায় যাবে এটা নিয়ে বেশ কনফিউশান এ থাকে। কোন একটা ঠিক হলে অন্যটা ক্যানসেল করার দুঃখে মন খারাপ থাকে। ব্যাগ গুছাতে গেলে কোনটা নিবে, কোনটা নিবেনা এগুলোর ম্যালা হিসেব মেলায় অনেক সময় নিয়ে। এর পর ট্রিপে গিয়ে দেখে জরুরি জিনিসটাই আনেনাই, আবার মন খারাপ।
আরো একদিন বেশি থেকে যাবে কিনা কনফিউজড! বেশি থাকলে মনে করে থেকে ভুল করলাম, না থাকলে মনে করে থাকলে ভালো হতো।
২০. গুষ্টি উদ্ধার ট্রাভেলারঃ
এদের আল্লাহর দান হচ্ছে মুখ। যেখানে যে জিনিসের কমতি দেখবে, অমনি ওই দিকের দায়িত্বে থাকাদের গুষ্টি উদ্ধার করবে গাইলাইয়া। রাস্তায় ঝাকি খাইলে যোগাযোগ মন্ত্রীর গুষ্টি উদ্ধার করে ফেলে। প্রাকৃতিক সমস্যা কিংবা ট্রিপে বেশি বৃষ্টি হইলেও আবহাওয়া অফিসকে পর্যন্ত ধুয়ে ফেলে গাইলাইয়া।
২১. ভটভটি নসিমন ট্রাভেলারঃ
এদের বর্ণনা আর কি দিবো। ট্রিপের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এদের বকর বকরই শোনা যায়। ভটভটির মতন টানা চলতেই থাকে। এরা বেশি বকর বকর করে বলে অনেক ক্ষেত্রে ট্রিপে গিয়ে মজার কিংবা ভালো কিছু বললেও সেটা আর সেভাবে গ্রহণযোগ্য হয়না।
২২. উপদেষ্টা ট্রাভেলারঃ
এরা ট্রিপে গেলে মোটামুটি সকল কিছু নিয়েই উপদেশ দিতে পছন্দ করে, সেটা অন্যরা পছন্দ করুক আর নাইবা করুক। এদের উপদেশের জ্বালায় অন্যান্যরা সহজে ঘেষতে চায় না।
“আপনারা আপনাদের ট্রিপে মাইক্রো পাঠিয়ে বাসা থেকে সবাইকে পিক আপ করতে পারেন।”, “আপনারা কিন্তু রুইলুই পাড়া থেকে কংলাক পর্যন্ত ক্যাবল কারের ব্যবস্থা রাখতে পারেন”!
২৩. নোংরা ট্রাভেলারঃ
এরা ট্রাভেলার শ্রেণীর সবার চেয়ে নিচে অবস্থান করে৷ এরা “এই দেশের কোন উন্নতি হবে না, এই দেশ খুব নোংরা” বলে দেশের জন্য খুব আফসোস করতে করতে নিজের হাতের পানির বোতল কিংবা চিপসের প্যাকেটটা ফুড়ুৎ করে ফেলে দেয় রাস্তায়, পানিতে, মাঠে-ঘাটে যেখানে খুশি।
২৪. আপু-ভাইয়া ট্রাভেলারঃ
এরা ঘুরতে যায় অন্য আপু কিংবা অন্য ভাইয়াদের সাথে ফষ্টি নষ্টি করতে। সারাক্ষণ এরা বিপরীত লিংগের মানুষ নিয়ে চিন্তায় মেতে থাকে। তাদের কাপড় পড়া থেকে শুরু করে কথা বলার ধরণও বদলে যায় অন্যদের চিন্তা করে। কিন্তু দেখা যায় সারাক্ষণ পিছে পিছে থেকে শেষে শুনতে হয় “পরিচিত হন, উনি আপনার হবু ভাইয়া/ভাবী”!
অনেক সময় আপুদের পিছে খুব সময় দিয়ে দেখা যায় ক্লাস ফাইভের ভাইগ্না-ভাগ্নীও পাওয়া যায়।
২৫. সাপোর্টিভ ট্রাভেলারঃ
এরা সকল পরিস্থিতিতে সামনে এগিয়ে আসে এবং ট্রিপে পরিস্থিতি অনুযায়ী সাপোর্ট দিয়ে থাকে। এরা নিঃসন্দেহে ভালো মানসিকতার ট্রাভেলার, তবে এদের সংখ্যা স্বভাবতই অনেক অনেক কম!
২৬. বিপক্ষ ট্রাভেলারঃ
এরা যে কোন পরিস্থিতিতে একটা জোট পাকাবে আর পরিস্থিতির বিপক্ষে অবস্থান নিবে। তখন দেখা যায় পরিস্থিতি সামাল দিবো নাকি বিপক্ষ, এমন বিপাকে পড়া লাগে।
২৭. আবদারী ট্রাভেলারঃ
এরা ট্রিপেই যায় বিভিন্নমুখী আবদার করতে।
“ভাই, আমার তেমন কিছু লাগবে না, ২০০০ টাকা ছাড় দিয়েন ট্রিপে, আর C1 সিট টা দিয়েন বাসে, রুম যেনো সবচেয়ে ভালোটা হয়, ওই রুমে আমি একাই শুবো, আমি আবার কারো সাথে বেড শেয়ারিং করতে পারিনা। এটুকুই, এর বাইরে আর কোন আবদার নাই ভাই, শুধু খাওয়ার সময় একটু খেয়াল রাইখেন আর জীপে সামনের সিটটা ছোট ভাই হিসেবে চেয়ে নিলাম।” এমন হয় তাদের আবদারগুলো!!
২৮. গ্রুপিং ট্রাভেলারঃ
এদের কাজই হচ্ছে ট্রিপে গিয়ে গ্রুপিং করা। ট্রিপে গিয়ে আলাদা করে এইটা ওইটা খাইয়ে, কিংবা নিজস্ব কায়দায় আপন বানানো। পরে বাসায় দাওয়াত করে কিংবা রেস্টুরেন্টে ডেকে নিয়ে খাওয়াবে, এবং শেষে নিজেই গ্রুপ খুলে গ্রুপ লিডার হবে। ইদানীং এই ক্যাটাগরির সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
২৯. ব্যাকবেঞ্চার ট্রাভেলারঃ
এরা সব ট্রিপেই হুট করে যাওয়ার স্বীদ্ধান্ত নিয়ে দেখা যায় বাসের সবার চেয়ে পেছনের সিট পায়, রুমও পায় শেষের দিকে; কোন রকম। কিন্তু এরাই দেখা যায় ট্রিপে সবচেয়ে আনন্দ পায়, যদি খালি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এটা ভেবে বের হতে পারে ” বের হচ্ছি। যেখানে যা আছে, যেভাবে আছে, সেভাবেই মেনে নিয়ে ফিরবো”, তাহলে শুধু ব্যাকবেঞ্চারদের না, সবারই সেরা অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরার কথা।
৩০. প্রশ্ন ব্যাংক ট্রাভেলারঃ
ইনারা প্রশ্নের খনি নিয়ে বাসা থেকে বের হন।
“বাস কয়টায় আসবে?”
“বাসের গায়ের রঙ কি হবে?”
“আচ্ছা, যে হাসের মাংস খেলাম, এটা কি ব্যাটা হাস না বেটি?”
“গরুর এই মাংসটা গরুর কোন দিকের মাংস? ”
“ভাইয়া, এক্সেক্ট ১ঃ৩০ এই এখানে আসবো নাকি ১ঃ৩৩ এ আসলেও হবে?”
এমন প্রশ্ন সারাদিন অনবরত চলতেই থাকবে।
৩১. বাইক্কা ট্রাভেলারঃ
এদের হাতে পৃথিবীর সমস্ত কিছু করার জন্য ভরি ভরি পয়সা কড়ি থাকলেও কিভাবে জানি ট্রিপে যাওয়ার কালেই কোন টাকা থাকে না। ট্রিপে গেলেই এরা খুব গরীব হয়ে যায় এবং বাকীতে ট্রিপে যাওয়ার পায়তারা করে। ট্রিপ থেকে ফিরে একেবারে অচেনা হয়ে যায়, ওই বাইক্কা টাকা বাইক্কাই থাইকা যায়। কিন্তু তারে ঠিকই দেখা যায় বিভিন্ন যায়গায় খেয়ে দেয়ে বেড়াচ্ছে, মুভি দেখতেসে, নতুন জামা কাপড় পড়ে ঝাকানাকা পোজ দিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ট্যুরের টাকার বেলায় তার আবার টানাপোড়েন শুরু হয় শাবানার সংসারের মতন! পরে আবার কোন ট্রিপে গেলে আগের টাকাটা পরিশোধ করে দিয়ে নতুন বাকীর খাতা খুলে ফেলে।
এর বাইরেও অনেক নাম বা ধরণ আছে। কারো মাথায় আসলে যোগ করতে পারেন। সংগৃহিত।
Leave a Reply