এভারগ্রিন কন্টেইনার জাহাজ সুয়েজ খালে আটকা পড়েছে বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলো। এখনো জাহাজটি উদ্ধার করতে পারেনি সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সুয়েজ কালের দুই দিকে (ভূমধ্যসাগর এবং লোহিত সাগর) হাজার হাজার জাহাজ অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ঝড়ো হাওয়ায় ব্যালেন্স রক্ষা করতে না পেরে এভারগ্রিন জাহাজটি সুয়েজ খালে আটকে যায়। এরপর থেকে একই অবস্থায় আছে কন্টেইনার পরিবাহী জাহাজটি। দখল করে রেখেছে পুরো সুয়েজ খাল। প্রথমদিকে জাহাজটিকে ভাসানোর চেষ্টা করছিলেন উদ্ধারকারী দল। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, জাহাজটিকে আনলোড করা হবে। মিশরীয় প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা মাদবৌলি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, মিশর সুয়েজ খালের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছে। খালের গভীরতা যাচাই করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে জানান তিনি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের সহযোগিতাও কামনা করেছেন তিনি।
২০ হাজার কন্টেইনার কার্গেো পরিবহন করছে এভারগ্রিন জাহাজটি। বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্গোর পরিমাণ কমিয়ে জাহাজটি ভাসানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু জাহাজটি সুয়েজ খালের তলায় এমনভাবেই বসে গেছে, কোনোভাবেই তা ভাসানো যাচ্ছে না। আর এতে প্রতি নিয়তই খরচ বাড়ছে। সুয়েজ খাল কর্তপক্ষকে ১৪ থেকে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গুনতে হচ্ছে এর ফলে। ভ্যাসেল ফাইন্ডারের ওয়েবসাইটে দেখা যাচে্ছ, শত শত জাহাজ সুয়েজ খালের দুই পাশে (লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগর) অবস্থান করছে। সংখ্যাটা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সুয়েজ খালে ট্র্যাফিক বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। পচনশীল পন্যবাহী জাহাজগুলো সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে। দিন যত গড়াচ্ছে, তাদের শঙ্কা ততোই বাড়ছে। ১৪টি টাগবোট জাহাজটি উদ্ধারে কাজ করছে।
মূলত সুয়েজ খাল হয়ে ইউরোপ থেকে এশিয়ায় এলে খরচ অনেক কমে যায়। এই রুটে ১০ হাজার নটিক্যাল মাইল পাড়ি দিতে ২৫/২৬ দিন সময় লাগে জাহাজের। অন্যদিকে আফ্রিকা ঘুরে এলে পাড়ি দিতে হয় ১৩ হাজার ৫০০ নটিক্যাল মাইল। সময় লাগে ৩৪ দিনেরও বেশি। যেসব জাহাজের গতি ১৬.৪৩ নটের বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই হিসাব প্রজোয্য।
Leave a Reply