করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সারাদেশে নতুন করে যে ‘লকডাউন’ আরোপ করা হয়েছে সেটি কার্যকর হয়েছে আজ বুধবার ভোর থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারি দলিলে এটিকে বলা হচ্ছে ‘বিধিনিষেধ’।
বুধবার ভোরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তৎপর রয়েছে।
ভোর সাড়ে ছয়টায় দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সাথে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বহু রাস্তা ব্যারিকেড বসিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরি সেবা সংস্থার কোনও যানবাহনও যেতে পারছে না, যেতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তায়। তবে এই কঠোর লকডাউনের মধ্যেও গার্মেন্টসসহ শিল্প কারখানা এবং ব্যাংক খোলা রয়েছে।
এ দফায় সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। এর আগে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। পরে তা আরও দু’দিন বাড়ানো হয়েছিল। তবে তা ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে , বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে ভোরে বিভিন্ন চেকপোস্টে দেখা গেছে রাস্তায় চলাচলকারীদের কাছে পুলিশ ‘মুভমেন্ট পাস’ দেখতে চায়নি।
Leave a Reply