স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। সেই সঙ্গে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং লকডাউনের ক্ষতি কাটাতে সরকারের কাছে স্বল্প সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ চান তারা। লকডাউনের কারণে প্রায় এক মাস ধরে গণপরিবহন না চলায় আয় বন্ধ রয়েছে জানিয়ে মালিকরা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের কিস্তি ও সুদ মওকুফের দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গাবতলীতে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, গণপরিবহন ব্যবসায় বিনিয়োগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণ ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে হালনাগাদ করার সুযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য অনুমতি দিতে হবে। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ যাত্রী সড়কপথে যাতায়াত করেন। জাতীয় অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ পরিবহন খাত। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কোটি যাত্রী গণপরিবহনে সড়কপথে যাতায়াত করেন। এ খাতে ৩০ লাখেরও বেশি শ্রমিক জড়িত। প্রত্যেক বছর সরকার এ খাত থেকে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে। চার লাখের মতো মোটর মেকানিক ও যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সড়ক পরিবহন খাতের সঙ্গে জড়িত।
রমেশ চন্দ্র বলেন, গত বছরও সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু পরিবহন খাতের মালিকরা তা থেকে বঞ্চিত হন। অথচ পরিবহন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। টানা ৬৮ দিন বন্ধ থাকার পরও কোনো সহায়তা পাননি।
Leave a Reply