পৃথিবীর সমুদ্র বাণিজ্যে সুয়েজ খালের গুরুত্ব অনেক। ইউরোপ থেকে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে যাতায়াতের জন্য এই খাল অনেক সময় ও অর্থ বাঁচিয়ে দেয়। কিছুদিন আগে পণ্যবাহী জাহাজ এভারগ্রিন সুয়েজ খালে আটকা পড়ার পর সমুদ্র বাণিজ্যে এক বড় ধরেণর ধাক্কা আসে। খালটির দুই পাশেই দেখা যায় জাহাজের দীর্ঘ লাইন। পণ্যবাহী এসব জাহাজ সঠিক সময়ে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। মিসরও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনায় যেনো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে না হয় সেজন্য এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তই নিয়েছে মিসর। সুয়েজ খালের দক্ষিণ পাশটা আরও সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিসর সরকার। পাশাপাশি খালের গভীরতাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এই প্রজেক্টের অনুমোদনও দিয়েছেন এরই মধ্যে। সুয়েজ খাল অথরিটির (এসসিএ) চেয়ারম্যান ওসামা র্যাবি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন এক টেলিভিশন বক্তব্যে। তিনি বলেন, ’এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে যে কোনো ধরণের জাহাজই সহজে যাতায়াত করতে পারবে সুয়েজ খাল ব্যবহার করে। এসসিএ জানিয়েছে সবমিলিয়ে ৯১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে।
মিসরের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সুয়েজ খাল। গত বছর এই খাল দিয়ে ১৮ হাজার ৮২৯টি জাহাজ চলাচল করেছে। এসব জাহাজ ১.১৭ বিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন করেছে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৪০/৫০টি জাহাজ যাতায়াত করে সুয়েজ খাল দিয়ে।
সুয়েজ খালের গুরুত্ব আরও বাড়াতেই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিসর। খালটি আরও ৪০ মিটার প্রশ্বস্ত করা হবে সিনাই পেনিনসুলার পূর্বপাশে। এছাড়াও ৭২ ফুট গভীরে খনন করা হবে। বর্তমানে খালটি ৬৬ ফুট গভীর।
Leave a Reply