কেবিন ক্রুদের বলা হয় ‘ফেস অব দ্য এয়ারলাইন্স’ বা উড়োজাহাজের মুখ। এর কারণ হচ্ছে, তাদের আচরণ এবং পেশাদারিত্বই এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রী ধরে রাখে এবং নতুন যাত্রীদের আকৃষ্ট করে। আবার তাদের বলা হয়, ‘লাস্ট লাইন অব ডিফেন্স’ বা শেষ রক্ষাকবচ। কারণ, উড়োজাহাজ আকাশে উড্ডয়নের পর যে কোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য কেবিন ক্রু ছাড়া আর কেউ থাকেন না। আকাশযাত্রায় প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী তারা।
ফ্লাইটে প্রত্যেক কেবিন ক্রুকে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। হাসিমাখা মুখে, শান্তভাবে, দৃঢ়চিত্তে এবং ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তাদের।
এ পেশায় নিয়োজিতদের সম্মান জানাতেই ৩১ মে পালিত হয় আন্তর্জাতিক কেবিন ক্রু দিবস। আগামীকাল সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রুদের ইউনিয়ন কার্যালয়ে দিবসটি পালনের প্রস্তুতি চলছে। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, চলমান করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পপরিসরে এ দিবসটি পালন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় ইউনিয়ন কার্যালয়ে কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী এই পেশায় নিয়োজিত প্রায় ছয় লাখ কেবিন ক্রুর আত্মত্যাগ এবং তাদের গুরুত্ব অনুধাবন করে দিনটিকে আন্তর্জাতিক কেবিন ক্রু অ্যাপ্রিসিয়েশন দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কয়েকজন কেবিন ক্রু জানান, ২০১৫ সালে কানাডার টরন্টোতে দিবসটি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা হয়। পরে দিবসটি জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমান কেবিন ক্রু ইউনিয়ন এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে আসছে।
Leave a Reply