হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জুনের শেষে এ কাজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু এর এক মাস আগেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। করোনা সংক্রমনের মধ্যেও দিনরাত কাজ চলছে থার্ড টার্মিনালের। করোনার কারণে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ বিঘিœত হলেও থার্ড টার্মিনালের কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি। নির্ধারিত সময়ের আগেই এ প্রকল্পের নির্মাণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক এ টার্মিনালটি নির্মিত হলে বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরের সুনাম অর্জন করবে বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি এয়ারক্রাফট রাখার অ্যাপ্রোন করা হচ্ছে। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন হাজারো শ্রমিক, কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী এই স্থাপনা নির্মাণের কর্মযজ্ঞে শামিল রয়েছেন। বিমানবন্দরের এই অংশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে আলাদা একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে করে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার যেকোনো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরে বহির্গমন এলাকায় যাওয়া যাবে।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে টার্মিনালাটির নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা।
থার্ড টার্মিনালের আকার বর্তমান বিমান বন্দরের দ্বিগুণেরও বেশি। টার্মিনালের কাজের সঙ্গে আশকোনার হজক্যাম্প থেকে একটি টানেল করা হবে। এর মাধ্যমে হাজীরা হজক্যাম্প থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়। প্রস্তাবিত বাজেটেও এ টার্মিনালের জন্য বিশেষ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
Leave a Reply