করোনা মহামারিতে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ায় বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রিক গাড়িতে ঝুঁকছে মানুষ। আর এই সুবাদে বড় অঙ্কের মুনাফা করছে এ খাতের শীর্ষ কম্পানি টেসলা। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের এই ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানায়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের মুনাফা এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রান্তিক হিসাবে যা নতুন রেকর্ড।
করোনা মহামারির কারণে সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হলেও ২০২১ সালে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি। কম্পানি জানায়, ইলেকট্রিক গাড়ির রেকর্ড সরবরাহের ফলে দ্বিতীয় প্রান্তিকে নিট আয় এসেছে ১.১৪ বিলিয়ন ডলার। যেখানে এক বছর আগের এই সময়ে আয় ছিল ১০৪ মিলিয়ন ডলার। আগের বছরের চেয়ে নিট আয় বেড়েছে ১০ গুণ। এ সময়ে রাজস্ব বেড়ে হয়েছে ১২.০ বিলিয়ন ডলার।
এ মুনাফাকে অবিশ্বাস্য মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন এলন মাস্ক। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘পুরো বছর প্রবৃদ্ধি কেমন হবে তার অনেক কিছু নির্ভর করছে দুর্বল সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর।’ এদিকে সেমিকন্ডাক্টরের অভাবে বিশ্বজুড়ে গাড়ি নির্মাতা কম্পানিগুলো যখন সংকটে রয়েছে, তখন এটিকে বাজার ধরার সুযোগ হিসেবে দেখছেন মাস্ক।
টেসলা জানায়, জার্মানি ও টেক্সাস রাজ্যে গ্রিনফিল্ড কারখানা উন্নয়নে তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছরের শেষ দিকে সেখানে মডেল ওয়াই গাড়ি উৎপাদন করা যাবে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কম্পানি গাড়ি সরবরাহ করেছে দুই লাখ এক হাজার ২৫০ ইউনিট। উৎপাদন করেছিল দুই লাখ ছয় হাজার ৪২১ ইউনিট।
ইউরোপিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিইএ) জানায়, এপ্রিল থেকে জুন তিন মাসে ইউরোপে নতুন গাড়ি বিক্রির ৭.৫ শতাংশ ইলেকট্রিক। যেখানে এক বছর আগের একই সময়ে ছিল ৩.৫ শতাংশ। ইউরোপে ব্যাটারি ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রি তিন গুণের বেশি বেড়ে হয়েছে দুই লাখ ১০ হাজার ২৯৮ ইউনিট।
এদিকে কক্স অটোমোটিভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে বর্তমানে রাজত্ব করছে টেসলা। তবে এ আধিপত্য ক্রমেই কমে আসছে। এক বছর আগে যেখানে টেসলার মার্কেট শেয়ার ছিল ৮৩ শতাংশ, এখন তা কমে হয়েছে ৬৪ শতাংশ। ফোর্ড, জেনারেল মোটরস এবং ফোকসভাগেনের মতো বড় কম্পানিগুলো এখন ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা গড়ে তুলেছে। সূত্র : এএফপি, সিএনবিসি।
Leave a Reply