নীলফামারীতে অপরিকল্পিত ভাবে পণ্য খালাসের কারণে রেলওয়ে লুপ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে পণ্য বোঝাই ওয়াগনগুলো ওই সব রেলের ট্রাকে নেওয়া হচ্ছে। এতে যে কোন সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ও গুডস হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্বে থাকা ট্যান্ডেলের বিরুদ্ধে এ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথ চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা এই পথে পাথর আমদানি করছেন। পাথরের ওয়াগনগুলো নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে এনে তা আনলোড করা হয়। ইতিমধ্যে ১০৩ ওয়াগন ভারতীয় পাথর আনলোড করা হয়েছে এই স্টেশনে।
কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে ও অদক্ষ শ্রমিকের মাধ্যমে দিন-রাত পাথর আনলোড করায় রেললাইনের (ট্রাক) যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাথরগুলো রেলপথের ওপর ফেলে দেওয়ার পর আমদানিকারকেরা ভেকু মেশিন দিয়ে তা পণ্যবাহী ট্রাকে লোড করছেন। এতে রেলপথের মাটিসহ স্লিপার ও রেল পাতের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন হয়েছে।
সৈয়দপুর স্টেশনের পণ্যবাহী ট্রেনের মালামাল আনলোডের শ্রমিকদের ট্যান্ডেল আফতাব আলম জানান, চুক্তি নিয়ে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগের মাধ্যমে ওয়াগনের মালামাল খালাস করায় দিনরাত কাজ করছেন। এতে রেলের ট্রাকে পাথর তো পড়বেই। ওয়াগন খালি করা তাঁদের কাজ। রেলের ক্ষতি তাঁরা করছেন না বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পার্বতীপুরে প্রধান পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সর্দার বলেন, সৈয়দপুর স্টেশনে মাত্র ৪ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। রাতে মালামাল খালাস করায় নিরাপত্তা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।
সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ সহ প্রকৌশলী সুলতান মৃধা জানান, স্টেশনের ৫ নম্বর লুপ লাইনটি পাথর আনলোড ও ভেকু ব্যবহার করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে চলাচলের অনুপযোগী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়ে সৈয়দপুর স্টেশন মাস্টারকে অবগত করা হলেও তিনি ঝুঁকি নিয়ে পাথরের ওয়াগন ওই লুপ লাইনে প্রবেশ করাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. শওকত আলী জানান, চলাচলের অনুপযোগী লুপ লাইনটিকে মাটি ও ইটের টুকরো দিয়ে উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তাই ওই রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন প্রবেশ করানো নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
Leave a Reply