প্রায় ২ বছর ১০ মাস পর জাহাজ রপ্তানির কার্যাদেশ এল বাংলাদেশে। চট্টগ্রামের জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড সুদান থেকে এই কার্যাদেশ পেয়েছে। নেদারল্যান্ডস, চীন, তুরস্ক ও ভারতের সঙ্গে দরপত্রে প্রতিযোগিতা করেই এই কার্যাদেশ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে জাহাজ রপ্তানিতে দীর্ঘ সময়ের খরা কাটল। এফএমসি ডকইয়ার্ড জানায়, কার্যাদেশ অনুযায়ী সুদান সরকারের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টাগবোট বা সাহায্যকারী জাহাজ নির্মাণ করবে প্রতিষ্ঠানটি। টাগবোটটির রপ্তানি মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৬ কোটি টাকা।
এফএমসি ডকইয়ার্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এই কার্যাদেশ পেয়েছি আমরা। চট্টগ্রামের ইয়ার্ডে শিগগিরই নির্মাণকাজ শুরু হবে। এটি ছাড়াও কয়েকটি আন্তর্জাতিক দরপত্রে আমরা সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছি, যেগুলোর রপ্তানি মূল্যমান হবে ১০ কোটি ডলার।’
জাহাজ রপ্তানিতে বাংলাদেশে সর্বশেষ কার্যাদেশ এসেছিল ২০১৮ সালের অক্টোবরে। চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এই কার্যাদেশ পেয়েছিল। কার্যাদেশ পাওয়া টাগবোটটি নির্মাণাধীন। করোনার কারণে নির্মাণকাজ পিছিয়ে যাওয়ায় রপ্তানিতে বিলম্ব হচ্ছে। সর্বশেষ জাহাজ রপ্তানি হয়েছে ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি। ওই দিন ভারতের ‘জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কস’ নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে দুটি জাহাজ রপ্তানি হয়।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদণ্ডিতে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ৬৫ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এফএমসি ডকইয়ার্ড। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২০০টি নতুন জাহাজ তৈরি করেছে। বর্তমানে এই ইয়ার্ডে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার কাজ চলমান।
Leave a Reply