বগুড়ার শেরপুরে মালবাহী ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এস এম মো. তৌফিকুল্লাহ (৩২) নামের এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তাঁর মা নাজমা বেগম (৫৫)। আজ শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর রানীর হাটমোড় নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তৌফিকুল্লাহ পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার সরিষা গ্রামের এস এম সানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকায় পেট্রোবাংলায় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনায় তৌফিকুল্লাহর মা নাজমা বেগম গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর গাড়ীদহ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আহম্মেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বগুড়ায় এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন প্রকৌশলী ও তাঁর মা। আজ শুক্রবার সকালে মাইক্রোবাসযোগে ঢাকায় ফিরছিলেন তাঁরা। পথে মহাসড়কের মির্জাপুর রানীরহাট মোড়ে পৌঁছলে তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
একপর্যায়ে ঢাকাগামী মালবাহী ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা প্রকৌশলী এস এম মো. তৌফিকুল্লাহ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সেইসঙ্গে তাঁর মা নাজমা বেগমও গুরুতর আহত হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply