রাজধানীর কল্যাণপুরে হাতিরঝিলের অনুকরণে আরেকটি দৃষ্টিনন্দন জলাধার তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, কল্যাণপুরে যে জলাধারটি নির্মাণ করা হবে, তাতে ওয়াকওয়ে ও সুইমিংপুলও থাকবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন অবৈধ দখলে থাকা ডিএনসিসির অ্যাসফল প্লান্টের জায়গা উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওই এলাকায় যেখানে জলাধার তৈরি করা হবে, সেখানে ডিএনসিসির ১৭৩ একর নিজস্ব জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১৭০ একরই অবৈধ দখলে। এ ছাড়া অ্যাসফল প্লান্টের ৫২ একর জমিরও বেশিরভাগই বেদখলে রয়েছে। গতকালের অভিযানে অ্যাসফল প্লান্টের প্রায় ২০ বিঘা জায়গা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম ও স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত জলাধার খুবই প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হলেও তার অধিকাংশই অবৈধ দখলে রয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। কল্যাণপুর জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭৩ একর জমির মধ্যে ১৭০ একর এবং গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ডিএনসিসির ৫২ একর জমির অর্ধেকের বেশি অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে। এ জমি উদ্ধার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সীমানা প্রাচীর করে দেওয়া হবে।
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি থেকে অবৈধ দখলদারদের নামে কোনো নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদের উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ডিএনসিসি কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের সহায়তায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply