চট্টগ্রাম বন্দর প্রকল্প থেকে রেল কানেক্টিভিটি বাদ
চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রেল কানেক্টিভিটি বাদ দেয়া হয়েছে। ফলপ্রসূ হবে না বিধায় আন্ত:মন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেল বাদ দেয়া হয়। তবে কন্টেনার জেটি, ডলফিন জেটি ও নতুন রাস্তা নিমার্ণ কাজ চলমান রয়েছে। ফ্লাইওভার নিমার্ণ শেষ হয়েছে। এছাড়া জিটুজি পিপিপি পলিসি অনুযায়ী বন্দরে অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পিপিপি অর্থরিটি ট্রাজেক্শন এডভাইজার নিয়োগ করবে এবং অপারেটর নিয়োগে ‘টাইম বাউন্ড একশন প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে। কমিটি বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে। একইসঙ্গে বন্দরের ভেতরে পড়ে থাকা নিলামযোগ্য গাড়িগুলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কাস্টমসের মাধ্যমে নিলামযোগ্য গাড়িগুলো নিলামের বিক্রির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, রনজিত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মোঃ আছলাম হোসেন সওদাগর, এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সব উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক ব্যয় ও বাস্তব অগ্রগতিসহ বন্দরের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া
‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল, ২০২১’ পর্যালোচনা করে বিলটি পুনরায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং চবক এর কাস্টমস কর্তৃক বন্দর অভ্যন্তরে পড়ে থাকা নিলামযোগ্য গাড়িগুলো নিলামের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply