এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বকেয়া পাওনার ওপর সারচার্জ কমিয়ে মাসিক ১ শতাংশ হারে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর কাছে লেখা এক চিঠিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এয়ারলাইন্সগুলোর বিভিন্ন বকেয়া পাওনার ওপর মাসিক ৬ শতাংশ অর্থাৎ বার্ষিক ৭২ শতাংশ হারে সারচার্জ চক্রবৃদ্ধি হারে আরোপ করে মোট পাওনা আদায় করে থাকে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্য দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে চালু ও বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে সারচার্জসহ বেবিচকের বকেয়া পাওনা আছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। মাত্রাতিরিক্ত এ সারচার্জের ফলে অনেক এয়ারলাইন্স তাদের পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না এবং দেনার চাপে দেউলিয়া হওয়ার মুখে পড়েছে। এ দেনা চক্রবৃদ্ধি হারে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, চলমান করোনা অতিমারিতে এ খাতের সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতও অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে। এয়ারলাইন্সগুলো তাদের পাওনা সময়মতো পরিশোধ করতে পারছে না। ব্যাপক সারচার্জের কারণে তারা আরও বেশি সমস্যায় পড়েছে। সংগঠনটি বলেছে, সময়মতো পাওনা পরিশোধ না করতে পারলে সারচার্জ দিয়ে পাওনা পরিশোধের নিয়ম অনেক দেশেই আছে। কিন্তু সেই সারচার্জের তুলনায় বেবিচকের হার অনেকগুণ বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে এ সারচার্জ ৮৩ শতাংশেরও বেশি। এর ফলে এয়ারলাইন্সগুলো একবার বকেয়া সারচার্জের ঝুঁকিতে পড়ে গেলে ওই অবস্থা থেকে তাদের ফিরে আসার উপায় থাকে না এবং দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়। এর জ্বলন্ত উদাহরণ জিএমজি, ইউনাইটেড ও রিজেন্ট এয়ার। বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো এ অবস্থা থেকে বের হয়ে ফের আর চালু হতে পারেনি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ খাত রক্ষায় সারচার্জ কমিয়ে মাসিক ১ শতাংশ বা বার্ষিক ১২ শতাংশ হারে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে এওএবি।
Leave a Reply