মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চোরাকারবারি চক্রের কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ নিজ আসনে লুকিয়ে একাধিকবার স্বর্ণ পাচার করেছেন সোহাগ পরিবহনের বাসচালক শাহাদাৎ হোসেন। পুলিশের রিমান্ডে এ তথ্য দিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর একইভাবে সোহাগ পরিবহনের সাতক্ষীরাগামী একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৯৫১৪) স্বর্ণ পাচারকালে ধরা পড়েন তিনি। রাজধানীর বিমানবন্দরের সামনে বাসটিসহ শুল্ক্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্মকর্তারা তল্লাশি করে তার কাছ থেকে ৫৮টি স্বর্ণবার (৬ কেজি ৭২৮ গ্রাম) জব্দ করেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই বাসের হেলপার মো. ইব্রাহিম এবং সুপারভাইজার তাইফুলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন শুল্ক্ক গোয়েন্দার রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার এসআই মেহেদী হাসান জানান, ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত বাসের চালক শাহাদৎ ও হেলপার ইব্রাহিমকে দুই দিন এবং সুপারভাইজার তাইফুলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চালক শাহাদাৎ পুলিশকে জানান, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে একাধিকবার স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্রের কোটি কোটি টাকার স্বর্ণের চালান নিজে আসনে লুকিয়ে পাচার করেছেন তিনি। পুলিশ জানায়, সর্বশেষ ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মালিবাগ সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে ছালাম নামে এক ব্যক্তি স্বর্ণবারের চালানটি চালক শাহাদাৎকে দেয়। তবে ওই ছালামকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি বিমানবন্দর থানা পুলিশ। স্বর্ণবারের মালিককেও শনাক্ত করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। রিমান্ড শেষে শাহাদাৎ ও সহযোগীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বিমানবন্দর কাস্টমস ও শুল্ক্ক গোয়েন্দারা মাঝে মাঝেই চোরাকারবারি চক্রের স্বর্ণের চালান জব্দ করেন। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একাধিক মামলাও তদন্তাধীন বলে পুলিশ জানায়। তবে অভিযোগ উঠেছে, রহস্যজনক কারণে আড়ালেই থেকে যাচ্ছে চক্রের গডফাদাররা।
এসআই মেহেদী জানান, চালক শাহাদাতের মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোহাগ পরিবহনের ওই বাসটি বিমানবন্দর থানা হেফাজতে রয়েছে। জানা গেছে, এ মামলাটি তদন্ত করতে পুলিশের তিন সংস্থা- সিআইডি, পিবিআই ও গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
Leave a Reply