1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

সওজ প্রকৌশলীর একাউন্টে ২১ কোটি টাকা লেনদেন !

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ও ভাই তরিকুল ইসলামের নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে লেনদেন করা অর্থের কোনো বৈধ উৎস পায়নি। নজরুল ইসলাম বর্তমানে বরিশালের সওজ অফিসে কর্মরত।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম নিজ নামে ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বরিশাল শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। ২০২০ সালের ৫ জুলাই পর্যন্ত প্রায় তিন বছরে এই ব্যাংক হিসাবটিতে চার কোটি ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা জমা পড়ে। পরে এই অর্থ নজরুল ইসলাম তুলে নেন। এভাবে তাঁর এক ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। হিসাবটি থেকে তুলে নেওয়া অর্থ কী করেছেন নজরুল ইসলাম—তার তথ্যও পরিষ্কার নয়।
দুদকের তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নজরুল ইসলামের ভাই মো. তরিকুল ইসলামের নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বরিশালের একই শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়। এই হিসাবটিতেও ২০২০ সালের ৭ জুলাই অর্থাৎ এক বছর চার মাসে ছয় কোটি এক লাখ টাকা লেনদেন হয়।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন পেশায় গৃহিণী। তাঁর হিসাবেও ৭৫ লাখ টাকার এফডিআর সহ উল্লেখযোগ্য অর্থ লেনদেনের তথ্য পায় দুদক ও বিএফআইইউ। সেই সঙ্গে বরিশাল সদরে নজরুল ইসলামের নামে একটি বহুতল ভবন এবং স্ত্রীর নামে ৮.৩৫ শতাংশ জমি আছে। সরকারের এই দুটি তদন্ত সংস্থার অনুসন্ধানে নজরুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের ব্যাংক হিসাবে মোট ২১ কোটি এক লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য উঠে আসে। কিন্তু অর্থ লেনদেনের কোনো বৈধ উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাগুলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সওজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে। চলতি বছরের মার্চ মাসে নজরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যসহ একটি প্রতিবেদন দুদকের হাতে আসে। এর পরই দুদক উপপরিচালক মাজেদুল ইসলাম ও উপপরিচালক এদিপ বিল্লাহর নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।
দুদক সূত্র আরো জানায়, নজরুল ইসলাম দুইবার দুদকের তলবে গরহাজির ছিলেন। তিনি বরিশাল থেকে ডাকযোগে লিখিত বক্তব্য পাঠান। এ ছাড়া বরিশালে পূবালী ব্যাংক শাখায় ২০১৮ সালে নজরুল ইসলাম আরো একটি হিসাব (সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ১১৯৪৮৬৪) খোলেন। সেখানে ১০ লাখ টাকা জমা করে তাঁর ভাইয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান টিমের প্রধান উপপরিচালক মাজেদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT