পর্যটন সুবিধায় বিদেশ থেকে আনা বিলাসবহুল ১১০টি গাড়ি কিনতে ক্রেতাদের ভালো সাড়া মিলেছে। দেশব্যাপী ডাকা এই নিলামে অনলাইন ও অফলাইনে বা সরাসরি পদ্ধতিতে ৫৫১টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র কিনেছে। এর মধ্যে
একটি গাড়ির সর্বোচ্চ দর পড়েছে ৫৩ লাখ টাকা। গাড়িটি হচ্ছে ‘বিএমডাব্লিউ ৭৩০’ মডেলের সিলভার কালার গাড়ি। ২০০৭ সালে জার্মানির তৈরি গাড়িটি কেনার জন্য সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রামের পোশাক খাতের ব্যবসায়ী ফারজানা ট্রেডিং।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার (নিলাম) মো. আল আমিন বলেন, ‘যে পরিমাণ আবেদন পড়েছে তাতে আমরা বেশ খুশি। বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়ায় গাড়ির দামও আগের তুলনায় অনেক বেশি এসেছে। এটা খুবই পজিটিভ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ১১০টি গাড়ির বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতার নামসহ টাকার অঙ্ক উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করেছি। সেই দর কিন্তু চূড়ান্ত নয়। এসংক্রান্ত কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে গাড়ির দাম অনুযায়ী তাকে দেওয়া যায় কি না। এর পরই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে।’
গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিএমডাব্লিউ ৭৩০ মডেলের গাড়িটি ২০০৭ সালের তৈরি। প্রথমত, এত পুরনো গাড়ি দেশে আমদানি হয় না। নতুন হলে একটা দাম বলা যেত। কিন্তু সেই গাড়ির দাম অনুমান করা খুবই কঠিন। কারণ গাড়িটি ১২ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে।’
সারা দেশ থেকে নিলামে অনেকেই অংশ নিলেও চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিয়মিতরা নিলামে অংশ নেননি। কাস্টমসে নিলামে অংশগ্রহণকারী কাস্টমস নিলাম কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এয়াকুব চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিতরা এই নিলামে অংশ নিইনি। কারণ কাস্টমস অনেকগুলো বিষয় পরিষ্কার করেনি। ফলে সেই গোলকধাঁধায় আমরা পড়তে চাইনি। এখন এই নিলামে যদি গাড়ি বিক্রি না হয়, তাহলে দ্বিতীয় নিলামে অবশ্যই এর চেয়ে বেশি দাম পাওয়া যাবে। এর পরও আমরা চাই সেগুলো বিক্রি হোক।’
Leave a Reply