সমুদ্রগামী বাংলাদেশী জাহাজ এখন ৮০টি
দেশের পতাকাবাহী জাহাজে পণ্য পরিবহন বাড়ছে
তিন বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী ৩৭টি জাহাজ যুক্ত হওয়ায় বিদেশি পণ্য বহনে এগিয়েছে দেশি জাহাজ কোম্পানি। সেখানে কাজ পেয়েছেন এক হাজার দেশি নাবিক। বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং নৌ পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই যথেষ্ট নয়। আরো অনেক কিছু করার আছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর বন্দরে আমদানি রপ্তানির পরিমান ছিলো ৯৫ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে বন্দরে খালাস হয়েছে ৩০ লাখ টিইউজ কন্টেইনার। এই আমদানি রপ্তানির মাত্র ১০ ভাগ পণ্য বহন করেছে দেশি ৮০টি জাহাজ। বাকি ৯০ ভাগ পণ্য বহনের জন্যে ৯ বিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে বিভিন্ন বিদেশি জাহাজ কোম্পানি।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান জানান, এই বিপুল পরিমাণ কন্টেইনারের ২০ শতাংশ যদি বাংলাদেশের জাহাজ পরিবহন করতে পারে, তবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে জমা হতে পারতো।
নৌ বাণিজ্য অধিপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান, তিন বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৭টি নতুন জাহাজ যুক্ত হলেও ১০ ভাগের বেশি পণ্য বহন করতে পারছে না।

তবে, নতুন জাহাজ যুক্ত হওয়ায় এক হাজারের বেশি দেশি নাবিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি রাজস্ব আয় বেড়েছেই। গত তিন বছরে ৩৭টি জাহাজে দেশি উদ্যোক্তারা প্রায় চার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। একের পর এক জাহাজ কিনে পানিতে ভাসিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
গত তিন বছরে সাময়িক ও স্থায়ী নিবন্ধন নেওয়া জাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭। তাতে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যায় রেকর্ড হয়েছে।
নৌ বাণিজ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাময়িক নিবন্ধনসহ এখন বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা ৮০। এ সংখ্যা স্বাধীনতার পর যেকোনো সময়ে সর্বোচ্চ।
Leave a Reply