যাত্রীভর্তি এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় দায়ী সকলের দৃশ্যমান শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ, নাগরিক অধিকার, নৌখাত ও পরিবহন বিষয়ক ১০টি বেসরকারি সংগঠন। নৌ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও চার সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত পাঁচ দিনেও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন সংগঠনগুলোর নেতারা।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি ও ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৪ জানুয়ারি নৌ প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমকে স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী তাঁরা কেউ-ই রেহাই পাবেন না। তাঁদের সকলকেই শাস্তি পেতে হবে। সেদিন তিনি স্পষ্টভাবে আরো জানিয়েছিলেন, প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট শিপ সার্ভেয়ারসহ (ফিটনেস প্রদানকারী প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক) নৌ পরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার পাশাপাশি লঞ্চের মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারদের দায়ী করা করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর এ কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণের পরও দায়ী সরকারি কর্মকর্তারা স্বপদে বহাল থাকায় সচেতন দেশবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে অতীতের মতো এবারও কি প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোাঁয়ার বাইরে থেকে যাবেন?
বিবৃতিদাতারা হলেন- নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ ওমর ফারুক, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ সিকদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. হানিফ খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী এবং পুরনো ঢাকা পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন।
Leave a Reply