1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

মো. গনি মিয়া বাবুল
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২

বহু বছর আগে প্রয়াত সাংবাদিক-কলামিস্ট নির্মল সেন স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টির কথা বলেছিলেন। কিন্তু প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংবাদ। গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক সমকালের লোকালয় পাতায় ‘চার জেলায় সাতজন নিহত’ শিরোনামে সংবাদটি পড়েছি। এ রকম সংবাদ প্রতিদিন টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে দেখছি। কিন্তু এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।
সড়ক দুর্ঘটনা সবার কাছে এক আতঙ্কের নাম। সড়কের মড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। সরকারের একার পক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন সংগঠন, এনজিও, ছাত্রসমাজ, যাত্রী, চালক, পথচারীসহ সবাইকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। তবে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ সরকারই নিতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকার নতুন আইন করেছে। এ আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারের আরও কঠোর হওয়া উচিত। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সর্বপ্রথম সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো খতিয়ে দেখা আবশ্যক। এসব দুর্ঘটনার কারণগুলো হচ্ছে- সচেতনতার অভাব, অদক্ষ ও অশিক্ষিত চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব, যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতা, দুর্নীতি, চলন্ত অবস্থায় চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার, অপরিকল্পিত ও ভঙ্গুর সড়ক, ওভারক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভারব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতি, অনিয়ম, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি ও চালক এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানো। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। গণমাধ্যম এ বিষয়ে সহায়ক ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে গণমাধ্যমকে দক্ষতার সঙ্গে আরও অধিক বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২৫ জুন ছয়টি নির্দেশনা এবং পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরও ১৭টি নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, অদ্যাবধি এসব নির্দেশনার কার্যকর বাস্তবায়ন পরিলক্ষিত হয়নি। এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর ছয়টি নির্দেশনা হলো- গাড়ির চালক ও তার সহকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, লং ড্রাইভের সময় বিকল্প চালক রাখা, যাতে পাঁচ ঘণ্টার বেশি কোনো চালককে একটানা দূরপাল্লায় গাড়ি চালাতে না হয়। নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর সড়কের পাশে সার্ভিস সেন্টার বা বিশ্রামাগার তৈরি করা। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে রাস্তা পারাপার বন্ধ; সড়কে যাতে সবাই সিগন্যাল মেনে চলে তা নিশ্চিত করা। পথচারী পারাপারে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট বাঁধার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

যুগ্ম মহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT